বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: এলাকার উন্নয়নের জন্য মতামত দেবেন এলাকাবাসী। তার জন্য আয়োজন করা হয়েছে চা-চক্রের। এমনই কর্মসূচির আয়োজন করেছে তমলুক পুরসভা। তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। 


প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো পুরসভা তমলুক। গত পুরভোটে ২০টি আসনের মধ্যে ১৮টিতেই জয়লাভ করে তৃণমূল। ২টি আসন পেয়েছে বিজেপি। নির্বাচনের আগে তমলুক পুর এলাকার উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। পরিস্রুত পানীয় জল, যানজট মেটানো এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। জয়ের পর পুরবোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন লীনা মাভৈ রায়। তারপরেই চা -চক্রের আয়োজন। তমলুক পুরসভার বাসিন্দাদের কাছ থেকে উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রস্তাব চাইছেন তাঁরা।


কবে চা চক্র:
২৩শে এপ্রিল তমলুক পুরসভার প্রেক্ষাগৃহ মহেন্দ্র স্মৃতি সদনে এই চা-চক্রের আয়োজন করা হয়েছে। শহরের ডাক্তার, শিক্ষক, সমাজকর্মী-সহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের এই চা চক্রে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। সেখানে পুর এলাকায় কী কী উন্নয়ন প্রয়োজন, সেটা জানাতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে গিয়েছে বাড়ি বাড়ি। তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলেন, 'আগামী ২৩শে এপ্রিল তমলুকের বিভিন্ন পেশার মানুষ, ডাক্তার, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে চা -চক্র করা হচ্ছে।'


বিরোধীদের কটাক্ষ:
চা-চক্রে এইভাবে পুরনাগরিকদের আমন্ত্রণ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বাম-বিজেপি। 
পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিআইএম সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, 'যারা মানুষকে ভোটই দিতে দিল না, ভোট লুঠ করল, তারা আবার পুর নাগরিকদের মতামত জানতে চাইছে। আসলে ওরা ভয় পেয়েছে। মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে, সেটা বুঝতে পেরে চা-চক্রের মাধ্যমে সন্তুষ্ট করতে চাইছে।'
বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মোদিজির চায়ে পে চর্চাকে নকল করতে চাইছে তৃণমূল। তমলুকের জন্য তারা কিছুই উন্নয়ন করেননি, বোকা বানিয়েছে। যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা, তা পূরণ করেনি। এখন চায়ে-পে - চর্চার মাধ্যমে নাটক করতে চাইছে।'


পাল্টা তোপ তৃণমূলের:
বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল। তৃণমূল পরিচালিত তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলেন, 'ওরা সব কিছুতেই বিরোধিতা করে। বামেরা দীর্ঘদিন তমলুক পুরসভার ক্ষমতায় ছিল, ওরা কেন কোনও উন্নয়ন করেনি। আর বিজেপির কি পেটেন্ট চায়ে-পে- চর্চা? প্রাচীনকালে রাজারা চা চক্র করতো, তাহলে কি বলব? মোদিজি সেখান থেকে ধার করেছেন?'


আরও পড়ুন:  ফরাক্কায় গ্রাহক সেজে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ৫৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার !