ঋত্বিক প্রধান, কাঁথি : সমুদ্রের জল ঢুকে প্লাবন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমুদ্রবাঁধ ঘেঁষা গ্রামে খাল খননের উদ্যোগ পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথিতে (Contai)। তৃণমূল (TMC) পরিচালিত মাজিলাপুট গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে, তার মধ্যেও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে গ্রামে প্লাবন পরিস্থিতি রুখতে খাল খননের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কাঁথির মাজিলাপুট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এখানে সমুদ্রবাঁধ এবং সমুদ্রের মাঝখানে রয়েছে জুনপুট, হরিপুর, গোপালপুর-সহ একাধিক গ্রাম। বঙ্গোপসাগরে সামান্য জলোচ্ছ্বাসেই বারবার প্লাবিত হয় এইসব এলাকা। আর বড় ঝড় হলে তো কথাই নেই! জমা জলে ফসল পচে গিয়ে কৃষকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন, তেমনই ভেড়ি প্লাবিত হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হন মৎস্যজীবীরা।


তৃণমূল পরিচালিত মাজিলাপুট গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে লোকালয়ে ঢুকে পড়া জল যাতে দ্রুত বেরিয়ে যায়, তার জন্য সমুদ্রবাঁধের গা ঘেঁষে, থাকা বিভিন্ন মৌজায় খাল তৈরি করা হবে। মাজিলাপুট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সমররঞ্জন দাস বলেন, ৩টি ক্যানেল আমার পঞ্চায়েতে কাজ হবে। তার টেন্ডার হয়েছে। এই ৩টি ক্যানেলই আমাদের কাছে বাঁচার লড়াই। খাল থাকা মানে সমুদ্রে জলধারণ ক্ষমতা বাড়বে। ঢুকে আসা জল তাড়াতাডি বেরিয়ে যাবে।


পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা। হরিপুরের বাসিন্দা বাণেশ্বর মান্না বলেন, সাধারণ মানুষের খুবই কাজে লাগবে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। খুব উপকার হবে। অপর এক বাসিন্দা সৌম্য গিরি বলেন, বিরামপুর থেকে হরিপুর পর্যন্ত সিডাইকের উভয় পাশে বিভিন্ন মৌজায় খাল খনন হবে। প্রাকৃতিক দুযোগ হলে জল তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবে। প্রতিটি মানুষ উপকৃত হবে।


এই কাজের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৫১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৭৯ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এনিয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, খাল খননের উদ্যোগ যথেষ্ট ভাল। কিন্তু কাজের জন্য বরাদ্দ পুরো টাকা যেন ব্যয় হয়, তা যেন নেতাদের পকেটে না চলে যায়।


কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতির পাল্টা বক্তব্য, বিজেপি কাজের কাজ কিছু করে না। যেখানে উন্নয়ন হয়, সেখানেই দুর্নীতি দেখে। ভাল কাজে বাধা দেওয়াই ওদের কাজ।