বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: প্রত্যেক ব্লকে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়, বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে থাকবেন দলের কোনও না কোনও সাংসদ বা বিধায়ক। জানালেন, বিজেপি-র (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ওঁরা তো মনোনয়ন দেওয়ার লোকই খুঁজে পাচ্ছে না, পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল (TMC)।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নে পাহারা, ঘোষণা সুকান্তর
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে এ দিন সুকান্ত বলেন, "গণনাকেন্দ্রে লুঠ করার তৃণমূল যে প্ল্যান করেছে, আমরা জানতে পেরেছি, পুলিশকে সামনে রেখে। তার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি। সেটাকে কীভাবে কাউন্টার করা যায়। ... প্রত্যেক ব্লকে ব্লকে মনোনয়নের সময় আমাদের কোনও না কোনও সাংসদ, কোনও না কোনও বিধায়ক যাতে উপস্থিত থাকে, সেই চেষ্টা করছি আমরা।"
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। অর্থাত্ হাতে খুব বেশি হলে আর ছয় মাস। তার আগে, ঘর গোছানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী, সব শিবিরই।
সোমবার, বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা মণ্ডল ও জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি সূত্রে খবর, সংগঠন মজবুত করতে প্রত্যেক বুথে ৩০ জনের কমিটি তৈরি করা হব। তার নেতৃত্বে থাকবেন বুথ সভাপতি।
সেই সভা শেষেই, একযোগে পুলিশ-প্রশাসন ও শাসকদলকে নিশানা করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, "বাস্তবিক ভাবে পুলিশ ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস বলে কিছু নেই। পুলিশকে সরিয়ে দিলে, তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস খোলার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।"
যদিও বিজেপি-কে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র বলেন, "বিগত ভোটগুলিতে প্রমান হয়ে গেছে ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। তাই হীনমন্যতায় ভুগে এইসমস্ত কথা বলছে। ..আসলে এখানে নমিনেশন করার মত লোক খুঁজে পাচ্ছেন না তাই এইসব বলছে। আর নির্বাচন কমিশনের নিয়মে সাংসদ বা বিধায়কের উপস্থিতিতে নমিনেশন করার কোন নিয়ম নেই।"
বিজেপি-কে পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের
পূর্ব মেদিনীপুরে একদা ছিল তৃণমূলের একাধিপত্য। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগ দেওয়ার পর থেকে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের জোর টক্কর। পঞ্চায়েত ভোটে কে কাকে টেক্কা দেবে, তার উত্তর সময়ই দেবে।