পুরুলিয়া: পুরভোটে (Municipal Election) তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর সময় যত যাচ্ছে, ততই যেন চড়া হচ্ছে অসন্তোষ। মেদিনীপুর (Paschim Medinipur), ঝাড়গ্রাম (Jhargram), বাঁকুড়া (Bankura), পুরুলিয়া (Purulia), জঙ্গলমহলের (Jungle Mahal) পুরসভাগুলিতেও (Municipality) প্রার্থী তালিকা নিয়ে শাসক শিবিরে ক্ষোভ তুঙ্গে। 


পুরুলিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিদায়ী প্রশাসক শামিমদাদ খান তৃণমূলের দু'বারের কাউন্সিলর। এবার তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। তাঁর ছেলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কোঅর্ডিনেটর সোহেলদাদ খানের ভাগ্যেও এবার প্রার্থী হওয়ার শিকে ছেঁড়েনি। প্রতিবাদে সাংবাদিক বৈঠক করে এদিন তৃণমূলই ছেড়ে দেন তাঁরা। 


পুরুলিয়ার তৃণমূলত্যাগী বিদায়ী পুরপ্রশাসক শামিমদাদ খানের বক্তব্য, ‘দল পুরোটাই পিকের কথায় চলছে। এটা তৃণমূল নয়, পিকেমূল। এই দলে আর থাকতে চাই না।’


বাঁকুড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের লোকপুরে আবার আগুন জ্বলল বিক্ষোভে। ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কোঅর্ডিনেটর মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকে টিকিট না দিয়ে এবার বরুণ সেনকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এরপরেই নতুন প্রার্থীর দাবি তুলে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।


ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১,২, ১১, ১৬ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডেও প্রার্থী বিক্ষোভ সামনে এসেছে। প্রার্থী বদলের দাবিতে তৃণমূল কর্মীদের একাংশ ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশের চেষ্টায় প্রায় দেড়ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে।


ঝাড়গ্রামের তৃণমূল কর্মী দীপক বসুর দাবি, ‘একটা প্রার্থীও মনমতো হয়নি। জমি মাফিয়া, চিটিংবাজদের প্রার্থী করা হয়েছে।’  

মেদিনীপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে সোনালি চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করেও পর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিকিট দেওয়া হয়। তারপরেও দেখা যায়, শনিবার সকালে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন সোনালি! দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর নামে! সোনালির দাবি, ‘মমতা, অভিষেকের নির্দেশে আমি প্রচারে নেমেছি। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি।’


মিতালির বক্তব্য, ‘আমি কাগজে আমার নাম দেখেছি। দল যা নির্দেশ দেবে তাই করব।’


মেদিনীপুরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী বদলের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা।