সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: আবেদন করেও, অনেকে পাননি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। অভিযোগ পুরুলিয়ার ইলু জারগো পঞ্চায়েত প্রধানের। এই পরিস্থিতিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পেতে অসুবিধে হতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রশাসনকে চিঠি দিলেন তৃণমূল প্রধান। অসুবিধে হবে না, আশ্বাস বিডিওর।


লক্ষ্মীমন্তদের হাত যাতে ফাঁকা না থাকে, সে জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করছেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। ১৬ অগাস্ট থেকে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে দেওয়া হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম।যাঁদের জন্য প্রকল্প, তাঁদের অনেকেরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না-থাকায় সমস্যায় পড়তে পারেন আশঙ্কা করে বিডিওকে চিঠি লিখলেন পুরুলিয়ার ঝালদার ইলু জারগো পঞ্চায়েতের প্রধান।


ইলু জারগোর বাসিন্দা সাবিত্রী মাহাতো জানিয়েছেন, আবেদন করেছিলাম। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পাইনি। লক্ষ্মী ভান্ডারের সুযোগ কেন পাব না, আমরাও আবেদন করব। প্রধানের চিঠি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। 


ঝালদার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর মাহাতোর কথায়, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেয়েছে কতজন? লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধেয় বা কারা পাবে? প্রধানের শিরদাঁড়া সোজা তাই মুখ খুলেছেন।  প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পেতে কারও কোনও অসুবিধা হবে না, আশ্বাস ব্লক প্রশাসেনর।


ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রাজকুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, বেশিরভাগেরই কার্ড হয়ে গিয়েছে। যাঁরা কার্ড পাননি তাঁদেরও রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। তা দিয়েই লক্ষ্মী ভাণ্ডারের কাজ হবে। কোনও অসুবিধা হবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জেনারেল ক্যাটিগরির বধূরা মাসে ৫০০ ও তফসিলি জাতিভুক্তরা ১০০০ টাকা মাসিক ভাতা পাবেন।


উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিলিকে ঘিরে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। গৃহকর না মেটালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম মিলবে না, এমনই শর্ত আরোপের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রধানকে।


জলপাইগুড়ি, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও, রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ঘিরে বেনিয়মের অভিযোগের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। ১ সেপ্টেম্বর চালু হবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প। জেনারেল ক্যাটিগরির মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা করে এবং তফসিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন। ২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে ফর্ম দেওয়ার কাজ। তাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের দোগাছিয়া গ্রামপঞ্চায়েতে।