সন্দীপ সমাদ্দার, ঝালদা: রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোট (Municipal Election)। আর ভোটের ঠিক মুখে পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় (Jhalda) ফুল বদল এক বিজেপি (BJP) প্রার্থীর! টিকিট পেয়েও দলবদল করলেন ঝালদা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মোহিত বাগতি। তাঁর সঙ্গে দলবদল করে আরও ৫০টি পরিবার। তাঁদের হাতে তৃণমূলের (TMC) পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। ছিলেন অভিনেত্রী ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। 


দলবদল করে মোহিত বাগতির দাবি, ‘বিজেপিতে ভেবেছিলাম কাজ করতে পারব। কিন্তু এখানে কাজ করতে পারছি না। মমতার উন্নয়ন দেখে তৃণমূলে যোগ দিলাম।’


১২ ফেব্রুয়ারি ছিল ১০৮টি পুরসভার ভোটের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এই অবস্থায় শিবির বদল করলেও বিজেপি প্রার্থী হিসেবেই ইভিএমে নাম থাকবে মোহিত বাগদিরই।


আরও পড়ুন মমতার নির্দেশে মনোনয়ন তুলে নিয়েছিলেন, অসুস্থ শরীরে দলের হয়ে প্রচারও করলেন সুভাষ


পুরভোটের আগে এই দলবদল ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। পাল্টা ঝালদা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবাশিস সেনের দাবি, ‘বিজেপিতে কোনও শিষ্টাচার নেই । তাই উন্নয়নের জোয়ারে পা মেলাতে মোহিত বাগতি সহ অন্যান্য বিজেপি সমর্থকরা তৃণমূলে যোগদান করলেন।’


মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় একাধিক বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করেন। সেই ছবি এবার দেখা গেল পুরুলিয়ায়। 


মুর্শিদাবাদের বহরমপুরেও একই ছবি দেখা গেল। পুরভোটের তিনদিন আগে তৃণমূলে যোগ দিলেন এক বিজেপি প্রার্থী। যা নিয়ে সরগরম এলাকার রাজনীতি। 


বহরমপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি এবার প্রার্থী করেছে অরুণাভ রায়কে। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সুবল রায়ের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার ময়দানে ছিলেন তিনি। পুরভোটের মাত্র তিনদিন আগে সেই বিজেপি প্রার্থী যোগ দিলেন তৃণমূলে! 


র্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী শাওনী সিংহ রায়ের দাবি, ‘বিজেপি-র কোনও উন্নয়ন নেই। বিধানসভায় মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে ভুল করেছে। এটা উনি প্রচারে বেরিয়ে উপলব্ধি করেছেন। শিক্ষিত সমাজের মানুষ ওঁকে চান না। তাই নির্বাচন থেকে সরে এসে সরাসরি তৃণমূলে যোগদান। এটাই জানিয়েছেন তিনি।’


২৮ ওয়ার্ডের বহরমপুর পুরসভার ২৬টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। ওই ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও আগে তা তুলে নেন কংগ্রেস প্রার্থী। ফলে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত হয়ে গেল।