সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: শাসক দলের ভূয়সী প্রশংসা, আর সেটা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলের বিধায়ক। সামনে লোকসভা ভোট, তার আগে দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। এই আবহেই পুরুলিয়ার (Purulia Government Engineering College) সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পরিদর্শন করে রাজ্য় সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করলেন কাশীপুরের বিজেপি বিধায়ক কমলাকান্ত হাঁসদা। শুধু তাই নয়, পরিকাঠামোর যে সব সমস্য়া রয়েছে তাও মিটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। 


কী বলেছেন বিধায়ক?
কাশীপুরের বিজেপি বিধায়ক কমলাকান্ত হাঁসদা বলেন, 'পুরুলিয়া জেলার একমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সরকারি কলেজ হিসেবে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্য়ে। অদূর ভবিষ্য়তে হয়তো আমরা ভাল কিছু আশা করব।'


এ যেন উলটপুরাণ। তৃণমূল সরকারের ভূয়সী প্রশংসায় খোদ বিজেপি বিধায়ক। বিধানসভার উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক স্ট্য়ান্ডিং কমিটির সদস্য় কাশীপুরের বিজেপি বিধায়ক কমলাকান্ত হাঁসদা। স্ট্য়ান্ডিং কমিটির অন্য়ান্য় সদস্য়দের নিয়ে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার রামকৃষ্ণ মাহাতো সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পরিদর্শনে আসেন তিনি। পরিদর্শনের পর কলেজের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বিজেপি বিধায়ক। পরিদর্শনের পরে তিনি বলেন, 'কলেজ তো খুব বেশি দিন হয়নি। ২০১৬ সাল থেকে চলছে। তার মধ্য়েও যেটা খবরচা পেলাম ভালই উন্নতি হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা কম আছে। এসে যাবে।'


দলীয় বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে কী বলছে বিজেপি?
পুরুলিয়া (Purulia BJP) জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙ্গা বলেন, 'উনি যেটা চোখে দেখেছেন সেটা বলেছেন। পার্টির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।'


২০১৬ সালে পুরুলিয়ার (Purulia) জয়পুর ব্লকে তৈরি হয় জেলার একমাত্র সরকারি ইঞ্জনিয়ারিং কলেজটি। এদিন কলেজের অধ্য়াপক ও পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করে পরিকাঠামো ও চাহিদা সম্পর্কে জানতে চান বিধানসভার স্ট্য়ান্ডিং কমিটির সদস্য়রা। সেই সময়েই স্ট্য়ান্ডিং কমিটির কাছে সরকারি বাস চালু, নলবাহিত পানীয় জল ও আলোর ব্য়বস্থা করার দাবি ওঠে। সব দাবি-দাওয়া নিয়ে বিধানসভায় রিপোর্ট দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্ট্য়ান্ডিং কমিটির সদস্য়রা। 


রামকৃষ্ণ মাহাতো সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ বিবেক চক্রবর্তী বলেন, 'ওনাদের কাছে কয়েকটা ইস্য়ু রেখেছি যেগুলো আমাদের এই মূহুর্তে প্রয়োজন। ক্য়াম্পাসটা বাড়ানোর ব্য়াপারে জেলা প্রশাসনের কাছে রেখেছি। ওনাদের কাছেও রাখলাম। ক্য়াম্পাসটা ১০ একর। আগামী দিনে যেন ২০ একর জায়গা পাই। আমাদের এখানে সাপ্লাই ওয়াটার নেই। যেন সেটা পাই।'


এদিন সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ও পরিদর্শন করে বিধানসভার স্ট্য়ান্ডিং কমিটির ছয় সদস্যের দলটি। 


আরও পড়ুন: রাম মন্দির নিয়ে এবার 'ঘরে ঘরে' বঙ্গ বিজেপি