হংসরাজ সিংহ, রঘুনাথপুর: তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের মহিলাদের অনেকের জাতি সংশাপত্র নেই। তাঁদেরও ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে মাসে ১ হাজার টাকা করে দিতে হবে। এই দাবি তুলে রঘুনাথপুরে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


রাজ্যজুড়ে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প। সেখান থেকে দেওয়া হচ্ছে, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম। আর এই ফর্ম বিলিকে কেন্দ্র করেই, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। 


বিভিন্ন জেলার মতো পুরুলিয়ার বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও পৌরসভা এলাকাতেও শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। সোমবার সকাল থেকে রঘুনাথপুর পৌরসভা এলাকার রঘুনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। 


মঙ্গলবার সকাল থেকেই মহিলাদের লম্বা লাইন দেখা গেছে এই ক্যাম্পে। তবে সব থেকে লম্বা লাইন দেখা গেল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কাউন্টারে। 


এদিন রঘুনাথপুর মহকুমা শাসক প্রিয়দর্শনী ভট্টাচার্য নিজে এখানে এসে ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং আবেদনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন। 


তবে এদিন এই সেন্টারের বাইরে শহর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদনকারী সকল মহিলাদের এক হাজার টাকা প্রদান করার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন দেখানো হয়। 


কংগ্রেসের দাবি, তফশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের বেশিরভাগই তাদের জাতি শংসাপত্র নেই। তাই তাঁরা এক হাজার টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেই কারণে শংসাপত্র না থাকলেও তাদের এক হাজার টাকা করে সরকারকে প্রদান করতে হবে। 


যদিও তৃণমূলের দাবি, প্রচারে টিকে থাকার জন্য কংগ্রেস নাটক করছে। তাদের কোনও অস্তিত্ব নেই। সরকারের তরফ থেকে এসটি ও এসসি শংসাপত্রের জন্য দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে আলাদা করে কাউন্টার করা রয়েছে সহজেই তাঁরা আবেদন করলেই শংসাপত্র পেয়ে যাবেন। 


মহকুমা শাসক প্রিয়দর্শনী ভট্টাচার্য জানান, দুয়ারের সরকার ক্যাম্পে জাতীয় সংসদ পত্রের জন্য আলাদা করে কাউন্টার করা রয়েছে। সেখানে আবেদন করলে তাঁরা জাতি শংসাপত্র পাবেন। ফলে লক্ষীর ভাণ্ডার সহ সমস্ত প্রকল্পের লাভ পাবেন এলাকার মানুষ।


১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প।