নয়া দিল্লি : ১২০ জন ভারতীয় কর্মী-আধিকারিককে নিয়ে ফিরল ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমান। গুজরাতের জামনগরে বিমানটি অবতরণ করে বলে সূত্রের খবর। এর আগে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, ভারতের রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় কর্মীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সেদেশের পরিস্থিতি দেখে এই সিদ্ধান্ত।


বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ট্যুইট করে জানান, "বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কাবুলে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং তাঁর ভারতীয় কর্মীদের অবিলম্বে ভারতে ফেরোনা হবে।" সূত্রের খবর, ভারত আফগানিস্তানের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং কাবুল থেকে কূটনৈতিক কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘনির দেশত্যাগ এবং তালিবানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশের পর রবিবার আফগানিস্তান সরকার ভেঙে পড়ে। একই দিন এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান AI244 ১২৯ জন যাত্রীকে কাবুল থেকে দিল্লি নিয়ে আসে। তাঁরা দেশে ফিরে মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের পরিস্থিতি সত্যিই খারাপ। রবিবার তালিবান কাবুলে ঢুকে রাষ্ট্রপতি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, তালিবান নেতারা কাবুলের নিয়ন্ত্রণ লাভ এবং আফগানিস্তানের রাজধানীতে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল করার পর দোহায় ভবিষ্যৎ সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছে। 


এদিকে তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকেই সেদেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে সাধারণ নাগরিকের মধ্যে। তালিবান আতঙ্কে নিজের মাটি ছেড়ে দূরে পালিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টার ছবি দেখা গেছে গতকালই। গতকাল উড়ন্ত বিমান থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এর পরও দেখা যাচ্ছে মর্মান্তিক ছবি। কাবুল বিমানবন্দরের দিকে দৌড়াতে দেখা গেছে মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের। এমনকী আমেরিকার বায়ুসেনার বিমানে ঝুলে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টাও করেন কেউ কেউ। তাতেই বিমান থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা। যা এ পর্যন্ত আফগানিস্তান সংকটের অন্যতম ভয়াবহ চিত্র হয়ে উঠে এসেছে। শুধু কী তাঁরাই ! যাঁরা কোনওে ক্রমে বিমানে উঠতে পেরেছেন, তাঁরা ঠাসাঠাসি করেই বিমান গেছেন।