পুরুলিয়া: বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র দাবদাহে নাজেহাল পুরুলিয়া জেলার বাসিন্দারা। ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের। বেলা যত বাড়ছে, তাপমাত্রার পারদ তত বাড়ছে। আজ জেলার তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির বাইরে বেরোতেই পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। সকাল সকাল নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেলেছেন সকলেই । বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে বেরোলে নাক মুখ ঢেকে,ছাতা মাথায় নিয়ে সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরোচ্ছেন।


মাথার ওপর আগুন ঝরাচ্ছে সূর্য। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে জ্বালা ধরানো গরমের দাপট অব্যাহত। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। 


আবহাওয়া দফতরের সূত্রে খবর, কলকাতায় আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলোতেও প্রবল গরম। কার্যত ফুটছে পুরুলিয়া। সেখানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে তাপমাত্রা। তীব্র তাপে নাজেহাল পুরুলিয়াবাসী। রোদের দাপটে বেশিরভাগ মানুষই ঘরবন্দি। কাজের জন্য যাঁদের বেরোতে হচ্ছে, তাঁরা নাক, মুখ ঢেকে ছাতা মাথায় নিয়ে বাইরে বেরোচ্ছেন। বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা চল্লিশের কোঠা না ছুঁলেও, একই ছবি রাঢ় বাংলার আরেক জেলা বাঁকুড়াতেও। চিড়বিড়ানি গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বাঁকুড়াবাসীর। দুর্গাপুরেও তাপের দাপটে প্রাণ ওষ্ঠাগত। তাপমাত্রা প্রায় চল্লিশ ছুঁইছুঁই। কাজের দিনেও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের রাস্তা একটু বেলা বাড়তেই কার্যত সুনসান। আসানসোলে ধরা পড়েছে দহনজ্বালার একই ছবি। শিল্পাঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই।  বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকায় চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া। দরদরিয়ে ঘাম হচ্ছে।  খুব জরুরি কাজ থাকলে রাস্তায় বের হচ্ছেন লোকজন, কাপড়ে মুখ ঢেকে, ছাতা হাতে। 
 
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং পশ্চিম বর্ধমানে লু বইতে পারে। শনিবারও তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দুই বর্ধমান এবং নদিয়ায়। শনিবার ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেও লু বইতে পারে। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর ও মালদায়।