প্রকাশ সিন্হা, সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের (Tapan Kandu Murder) ঘটনায় প্রথম চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।  সিবিআই সূত্রে খবর, নরেন কান্দু, দীপক কান্দু সহ যে ৫ জনকে তপন কান্দু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের নাম রয়েছে চার্জশিটে (Purulia News)। আজ পুরুলিয়া জেলা আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। তবে সিবিআই জানিয়েছে, তদন্ত শেষ হয়নি। 


এখনও তদন্ত শেষ হয়নি বলে জানিয়েছে সিবিআই


ঝালদার (Jhalda News) কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায়, ৮৮ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট জমা দিল CBI। তাতে নাম রয়েছে পাঁচ জনের। ইতিমধ্যেই যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু, ভাইপো দীপক কান্দু, সুপারি কিলার কলেবর সিংহ, মহম্মদ আশিকএবং সত্যবান প্রামাণিক নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীর, যাঁকে গ্রেফতার করেছে CBI।


গত পুরভোটে কাকা তপন কান্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন ভাইপো দীপক। শেষ অবধি কংগ্রেস প্রার্থী কাকার কাছে হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী ভাইপো। তবে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়, ঝালদা থানার আইসির ভূমিকা নিয়ে, যে অভিযোগ উঠেছিল,  চার্জশিটে তার উল্লেখ নেই। 


আরও পড়ুন: North 24 Parganas News: সমৃদ্ধি যোজনায় ঋণ পেতেও কাটমানি! গাইঘাটায় কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা, অভিযোগ দায়ের


নিহত কংগ্রেস নেতার স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর বক্তব্য, "সিবিআই আংশিক চার্জশিট চালিয়ে গেল। তদন্ত চালিয়ে যাবে বলেছে। পূর্ণ আস্থা আছে, যে আসল দোষীরা ধরা পড়বে। এখনও শ্যুটাররা ধরা পড়েনি। আসামীরা নিজেই বলেছে, পিছনে বড় বড় মাথা আছে। সিবিআই আসামীদের আরও জিজ্ঞাসা করুন, বড় মাথা কারা আছে। আমি আগে বলেছি, হত্যাকাণ্ডে মূল পুলিশ জড়িয়ে। আইসি এখনও ডিউটি করছেন। আইসিকেও গ্রেফতার করা উচিত। তারপর বড় বড় মাথা আছে। আমি তো বলেছি, তৃণমূলের নেতারাও জড়িত। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে, ওরা বলতে পারবে।"


চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেওয়া এখনও বাকি


পুরুলিয়ার কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, "যেহেতু এটা আংশিক চার্জশিট, ওদের নিশ্চয়ই আরও বড় কোনও বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে হয়ত। আগামী দিনে আরও নিশ্চয়ই তালিকার মধ্যে ঢুকবে। এই আশাতেই তদন্ত চালিয়ে যেতে চাইছে। এখনও ২-৪ জন আসামী বাইরে, সেটা হয়ত ওদের নজরে আছে। আশা করব, মাথাদের ধরবে।" তাই সিবিআই চূড়ান্ত চার্জশিট কবে জমায় দেয়, তাতে আর কারও নাম থাকে কি না, এখন সেদিকেই সবার নজর।