ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, ঝালদা, পুরুলিয়া: ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে তদন্তে তৎপর সিবিআই। এবার ওই ঘটনায় দুটি ফোন বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। তপন কান্দু ও মিঠুন কান্দুর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু ও তাঁর ভাইপো মিঠুন কান্দুর মোবাইল ফোন পুলিশের কাছ থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। বাজেয়াপ্ত ফোনদুটির ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। খতিয়ে দেখা হবে সমস্ত ফোন কলও।
এসডিপিও-কে তলব:
পাশাপাশি, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে এবার এসডিপিও সুব্রত দেবকে তলব সিবিআইয়ের। সূত্রের খবর, আজই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। এছাড়াও, ঝালদা থানার ক্লোজ হওয়া পাঁচ পুলিশকর্মী-সহ ঘটনার দিন থানায় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের সকলের বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই।
ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর (Tapan Kandu Murder Case) খুনের ঘটনায় আইসি-র ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্ট (Calcuta High Court) প্রশ্ন তোলার পর তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। তপন কান্দু খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই ঝালদা (Jhalda Murder Case) থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে তলব করা হয়েছিল।
আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা:
নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী ইতিমধ্যেই আদালতে গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। তার মধ্যেই সম্প্রতি তপনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিরঞ্জন ঘোষ আত্মহত্যা করেন। তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন নিরঞ্জন। সুইসাইড নোটে নিরঞ্জন লিখে গিয়েছেন, জীবনে থানার চৌকাঠ পার করেননি তিনি। কিন্তু তপন খুন হওয়ার পর থেকে বার বার তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছিল পুলিশ। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তাই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
নিরঞ্জনের আত্মহত্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পূর্ণিমা। তিনি জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার প্রত্যদর্শী ছিলেন। তার জন্যই নিরঞ্জনকে হেনস্থা করা হচ্ছিল কি না, তিনি আরও কিছু জানতেন কি না, প্রশ্ন তুলেছেন পূর্ণিমা।