অরিত্রিক ভট্টাচার্য, পুরুলিয়া: ঝালদায় (Jhalda Murder) কংগ্রেস কাউন্সিল তপন কান্দু খুনে (Tapan Kandu Murder) এ বার আর্থিক লেনদেনের উপর নজর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI)। তার জন্য ধৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের হিসেব খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ভাড়াটে খুনিকে দেওয়ার জন্য মোটা টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। তাই তপন কান্দুর বাই নরেন কান্দু, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সত্যবান প্রামাণিক এবং ব্যবসায়ী আশিক খানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে (Purulia News)।
ভাড়াটে খুনিকে টাকা দিতে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে লেনদেন!
সত্যবানের নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। তাঁর স্ত্রী এবং আশিকের অ্যাকাউন্টের কত টাকার লেনদেন হয়েছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই লেনদেনের হদিশ পেতে শনিবার ব্যাঙ্ককর্মীদের নিয়ে নরেন এবং সত্যবানের বাড়িতে যায় সিবিআই। সেখানে আশিকের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তাঁদের লেনদেনের হিসেব মেলানো হয়। নরেনের বাড়ির দলিলটি পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, ভাই তপনকে খুন করতে নরেন ৭ লক্ষ টাকা খরচ করেন বলে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এর আগে, নরেনের ছেলে দীপক কান্দু তপনের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছিল। ছেলেকে জেতাতে প্রচুর টাকা ঢেলেছিলেন নরেন। কিন্তু তপনের কাছে হেরে যান দীপক। এর পর ভাইকে খুন করতে টাকা কম পড়ে নরেনের। তাই ভাড়াটে খুনিকে ৭ লক্ষ টাকা দিতে কিছু ধারও নিতে হয়েছিল তাঁকে।
ভাইকে খুন করতে ৭ লক্ষ টাকা খরচ করেন নরেন!
নরেন ওই ৭ লক্ষ টাকা কার কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন, তা থেকে কোথায়, কত খরচ করেন, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। এ ছাড়াও, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, তপন খুনের আগে ভাড়াটে খুনিকে নিজের মোপেডে বসিয়ে এলাকা ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন সত্যবান। তাঁর মোপোডটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকে প্রশ্ন তুলছিল নিহত কংগ্রেস নেতার পরিবার। এ যাবৎ পুলিশি তদন্তে উঠে আসা যাবতীয় নথি-পত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।