কলকাতা: তিনি বাংলা ছবিকে ভালোবাসেন, চান দর্শক বাংলা ছবি দেখুক। আর তাই তাঁর সব ছবিতেই চেষ্টা করেন বাঙালিয়ানা আর নস্ট্যালজিয়া মিশিয়ে দিতে। আলাদা নয় তাঁর নতুন ছবি 'কিশমিশ'-ও। আশির দশক থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশক এই প্রেমের গল্প সবার জন্য। এবিপি লাইভের সঙ্গে নতুন ছবির গল্পে অনর্গল দেব-রুক্মিণী (Dev-Rukmini)।
'দেবের চারটে ছবি চারটে ঘরানার'
'টনিক' এখনও দর্শকদের মনে লেগে রয়েছে। এরপর 'কিশমিশ' নিয়ে কী দর্শকদের প্রত্যাশা বাড়ছে? দেব বলছেন, 'আমি চাই দেবের চারটে ছবি চার রকম হবে। সব ছবিই একে অপরের থেকে আলাদা হবে। মানুষ যখন দেবকে নিয়ে আলোচনা করবে, বলবে চারটে ছবি চারটি ঘরানার। প্রত্যেকটা ছবিতেই নিজেকে ভাঙাগড়ার সুযোগ চাই। আর দর্শক যেন সেই ছবি নিয়ে আলোচনা করে, সেই ছবি দেখে দর্শকদের মনে হয়, এটা আমাদেরই গল্প। আমাদের এই ছবিটার মধ্যে নস্ট্যালজিয়া রয়েছি। আমরা যেগুলো দেখে বড় হয়েছি, গঙ্গার ধার, থিয়েটার, চায়ের ঠেক, কফিহাউজ.. সবকিছুর মিশেল আছে এই ছবিতে। সবকিছুর একটা নির্যাস রাখার চেষ্টা করেছি ছবিতে।'
আরও পড়ুন: জুতো-মোজার মধ্যে লুকিয়ে স্কুলে নিয়ে যেতেন মোবাইল ফোন, প্রিন্সিপালের হাতে ধরাও পড়েছিলেন রুক্মিণী!
আদ্যপান্ত মিষ্টি প্রেমের গল্প 'কিশমিশ'। এই সময়ে দাঁড়িয়ে যখন থ্রিলার আর গোয়েন্দা ছবির রমরমা, দর্শকদের কতটা মন কাড়বে কিশমিশ? হাসতে হাসতে রুক্মিণীর উত্তর, দাদা, দিদি ডিকেটটিভদের ভিড়ে একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প কিশমিশ। সবাইকে সম্মান দিয়েই বলছি, দর্শকদের কিশমিশ ভালো লাগবে এমনই আশা'।
এই ছবির চিত্রনাট্য যখন রুক্মিণীর কাছে এসেছিল, সেইসময়ে নাকি অভিনয়েই করতেন না রুক্মিণী। অভিনেত্রী বলছেন, 'এই চিত্রনাট্য নিয়ে যখন দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্জারর্স (Dev Entertainment Ventures) কাজ শুরু করে, তখনই রাহুল (রাহুল মুখোপাধ্যায়) বলেছিল, এই ছবির জন্য ওর নাকি হিরোইন (Heroin) খোঁজা রয়েছে। সেটা আমি। এই ছবিটা দেবের কপালে ছিল, কিন্তু তারও আগে আমার কপালে ছিল। ছবির চিত্রনাট্য শুনেই আমি রাজি হয়ে যাই। আশির দশকের একটা বড় অংশ আছে ছবিতে। ওই সময়ের গল্প শুনে এসেছি মা, দিদাদের কাছে। সেই সময়টাতে দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে পারব এটা ভেবেই ছবিটা করতে রাজি হয়ে যাই।'
ছবিতে রুক্মিণীর লুকে নতুনত্বের ছোঁয়া রয়েছে। নায়িকা বলছেন, 'আমার স্টাইলিশদের সঙ্গে মায়ের কথা হত। ওইসময় কীরকম পোশাক উঠেছিল, কেমন স্টাইল, কেমন চুলবাঁধা, সবই মা বলে দিত। তখনকার চালচলন আমিও কিছুটা শিখেছিলাম মায়ের থেকেই। আমি খুব চেষ্টা করেছি, দর্শকদের কাছে যেন চরিত্রটাকে সততার সঙ্গে তুলে ধরতে পারি। যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে আশা করি দর্শক ক্ষমা করে দেবেন।'