পুরুলিয়া: ঝালদায় (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলরকে (Congress Councillor) গুলি করে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি মৃতের পরিবারের। নিহত কাউন্সিলরের (Councillor) স্ত্রীর অভিযোগ, পুরভোটে জয়ের পর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য পুলিশকে দিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। খুনের ঘটনায় মৃতের দাদা ও ভাইপোকে আটক করেছে পুলিশ। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু এবার তৃণমূলের টিকিটে ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাকার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু পরাজিত হন। ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছে আটক তৃণমূল প্রার্থীর পরিবার। খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ নাকি, পারিবারিক বিবাদ, খতিয়ে দেখছে ঝালদা থানার পুলিশ।


ত্রিশঙ্কু ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) কংগ্রেসের (Congress) প্রতীকে জিতেছিলেন তপন কান্দু (Tapan Kandu)। যাঁকে রবিবার গুলি চালিয়ে খুন করা হয়। নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ, জয়ের পর থেকেই তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল, যার সঙ্গে যুক্ত থানার আইসি-ও। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


ঝালদার (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলরের খুনের ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনায় নিহতের ভাইপোকে আটক করা হয়েছে। যিনি পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। কংগ্রেসের দাবি, পুলিশ এই বিষয়টিকে পারিবারিক গন্ডগোল হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। যদিও, আদতে তা নয়। তৃণমূল অবশ্য কংগ্রেসের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।


দুই কাউন্সিলরের খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে বিধানসভায় বিজেপি বিক্ষোভ দেখায় এদিন। নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত ও কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ছবি গলায় ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান মনোজ টিগ্গা, অগ্নিমিত্রা পাল, শঙ্কর ঘোষ-সহ বিজেপি বিধায়করা। পরে বিধানসভার বাইরেও তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। 


উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি এবং পুরুলিয়ার ঝালদা। রাজ্যের দুই প্রান্তে দুই কাউন্সিলরকে গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।