ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, পুরুলিয়া : জনসভার পর লধুড়কা গ্রামে বিজেপি কর্মী (BJP Worker) ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়ের (Falguni Chatterjee) বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। মেনুতে ছিল বাসমতি চালের ভাত ও ১৫ রকমের পদ। 'এত কষ্ট কেন করলেন, আমি তো এত খাই না', বলে ওই পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। বিউলির ডাল ও আলু পোস্ত তাঁর পছন্দের খাবার বলে জানান মিঠুন। পোস্ত-ডাল-মাছ-বেগুনভাজা দিয়ে অল্প হলেও তৃপ্তি করে ভাত খান।


খেতে খেতেই মিঠুন জানান, একটু সুগারভাব রয়েছে। তাই মিষ্টি কম খাই। তাছাড়া এত মিষ্টি খাব কী করে ! বেশি কাতলা মাছই খাই। চিংড়ি পছন্দ নয়। 


রাজ্যকে একহাত-


এরপর রাজ্যকে একহাত নেন। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘোষণা হয়েছে, কিন্তু, তার উপর যদি আপনি বাংলা আবাস যোজনা করে দেন তাহলে অ্যাকাউন্টে যে পয়সা আসবে, সেটা কোন অ্যাকাউন্টে আসবে ? টাকা আসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, কিন্তু পোস্টারে দেখা যাচ্ছে বাংলার আবাস যোজনা। তবে, একটা কথা ঠিক যা হচ্ছে সব প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকেই হচ্ছে। তাহলে বলছেন কেন টাকা দিচ্ছে না। হিসেব চাইছে, হিসেব দিচ্ছেন না কেন ? এখানে যে কমিটি এসেছিল, তারা যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাদের রিপোর্টের সঙ্গে এখানকার রিপোর্ট মিলছে না। কিছু একটা বৈষম্য রয়েছে। একবার পরিষ্কার হয়ে গেলে, সব আবার শুরু হবে। আগে মানুষ বুঝুক কেন তারা পাচ্ছে না। না পাওয়ার পেছন, টাকা দিচ্ছে না তা বলে দিলে তো হবে না। টাকাটা কেন পাচ্ছেন না? প্রধানমন্ত্রী যখন ঘোষণা করছেন, তখন সেটা সবার জন্য।" 


পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে আজ পুরুলিয়ায় যান মিঠুন। সভা করেন হুড়ার লধুড়কা গ্রামে। হাতের কাছে মিঠুনকে পেয়ে অভাব-অভিযোগের কথা জানান বিজেপি কর্মীরা। কেউ জানালেন আবাস যোজনায় বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগ, কেউ জানান বার্ধক্য ভাতা না পাওয়ার অভিযোগ। রাজ্যকে নিশানা করে এসবের জবাব দেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী।


উল্লেখ্য, কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে জেলায় জেলায় সাংগঠনিক সভা করবেন মিঠুন চক্রবর্তী।


আরও পড়ুন ; ‘তৃণমূলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, অনেকে ভাল লোক আছেন’ বললেন মিঠুন