হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া : নদীর চর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর দেহ উদ্ধারের একদিন পরেও জানা যায়নি মৃতার পরিচয়। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ থাকলেও, একাধিক বিষয় নিয়ে অন্ধকারে পুলিশ। এরই মধ্যে আবার পুরুলিয়ার কুমারী নদী থেকে উদ্ধার হল আরেকটি দেহ। তা ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য । পরপর একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে । দুই দেহ উদ্ধারের মধ্যে কি কোনও যোগ আছে?
পুরুলিয়ার বরাবাজার থানার সিন্দ্রি এলাকায় কুমারী নদীর পাড় থেকে বুধবার অজ্ঞাত পরিচয় তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। তারপর চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার পার্শ্ববর্তী মানবাজার থানা এলাকার দেলদোরিয়ায় সেই কুমারী নদী থেকেই উদ্ধার হল এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ৷ এই মহিলারও পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজে মৃত মহিলার ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
আর জি কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই বুধবার কৃষ্ণনগরে পুজো মণ্ডপের কাছে এক তরুণীর অর্ধদগ্ধ ও বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই পুরুলিয়ার বরাবাজারের ফতেপুর এলাকায় কুমারী নদীর চরে মাটি খুঁড়ে বছর পঁচিশের তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, নদীর চরে উঁচু ঢিবি দেখে প্রথমে তাঁদের সন্দেহ হয়। চারপাশে রক্তের দাগ দেখে এগিয়ে যেতেই মহিলাদের পোশাকের কিছুটা অংশ মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ এসে মাটি খুঁড়তেই উদ্ধার হয় অচেনা তরুণীর দেহ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহতের পরিচয় জানতে আশেপাশের ৪-৫টি গ্রামে খোঁজ নিয়েও কিছু জানা যায়নি। এরই মধ্যে আবারও একটি মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের মধ্য়েই, কোথাও উদ্ধার হচ্ছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর অগ্নিদগ্ধ দেহ। কোথাও মাত্র ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠছে। কোথাও আবার বালির চরে পুঁতে রাখা হয়েছে তরুণীকে। রাজ্যজুড়ে এত প্রতিবাদ, এত রাতদখলের পরেও খুন-ধর্ষণ-নারীদের ওপর ভয়ঙ্কর অত্যাচারের ঘটনা থামছে না।