হংসরাজ সিংহ, রঘুনাথপুর (পুরুলিয়া) : বিনা টেন্ডারে কাজ করানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত (TMC-Led) রঘুনাথপুর পুরসভার (Raghunathpur Municipality) বিরুদ্ধে। মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানালেন পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পুরপ্রধান। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসক।


'আই লাভ রঘুনাথপুর'-


আই লাভ রঘুনাথপুর। বিভিন্ন জায়গার নাম দিয়ে এই ধরনের সেলফি পয়েন্ট এখন ট্রেন্ডিং। সোশাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এই ছবি এখন আখছার দেখা যায়। কিন্তু তৃণমূল পরিচালিত পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর পুরসভার তৈরি এই সেলফি পয়েন্ট নিয়েই এবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলল বিরোধীরা।  


পয়লা অক্টোবর, ষষ্ঠীর দিন রঘুনাথপুরে এই সেলফি পয়েন্টের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার এক কংগ্রেস কাউন্সিলরের অভিযোগ, কোনও টেন্ডার ছাড়াই এটি তৈরি করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর দেবযানী প্রামাণিক ও কংগ্রেসের টাউন সভাপতি তারক প্রামাণিক। এমনকী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিও জানিয়েছে কংগ্রেস। 


রঘুনাথপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর দেবযানী প্রামাণিক বলেন, এই সেলফি পয়েন্টের নির্মাণের জন্য কোনও টেন্ডার করা হয়নি। কোনও আলোচনাও করা হয়নি কাউন্সিলরদের সঙ্গে।


যদিও রঘুনাথপুরের পুরপ্রধান ও তৃণমূল নেতা তরণী বাউড়ি বলেন, বোর্ড অফ কাউন্সিলরের মিটিংয়ে এই নির্মাণ কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছেন।


এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রঘুনাথপুরের মহকুমা শাসক।


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তৃণমূল পরিচালিত ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে কংগ্রেস (Congress)। অনাস্থা চেয়ে জেলাশাসক ও মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলররা। অনাস্থা চেয়ে চিঠি কংগ্রেসের ৫ কাউন্সিলর ও ১ নির্দল কাউন্সিলরের। ঝালদা পুরসভার (Jhalda) ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি তৃণমূল, ৫টি কংগ্রেস, ২টি নির্দল। এক নির্দল কাউন্সিলর সমর্থন করেন তৃণমূলকে। অপর নির্দল কাউন্সিলরকে নিয়ে তৃণমূলের বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব কংগ্রেসের।


পুরবোর্ড গঠনের আগেই রক্তাক্ত হয় পুরুলিয়ার ঝালদা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় চারবারের কংগ্রেস কাউন্সিলরের। দলের বৈঠক সেরে ফিরে আসার পরই দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়েন কংগ্রেস নেতা।পুরুলিয়া শহরে দলের বৈঠকে যোগ দিতে গেছিলেন তপন কান্দু। বৈঠক শেষ হওয়ার পর ঝালদায় ফিরে যান। বিকেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই মোটরবাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথায় গুলি লাগে কংগ্রেস কাউন্সিলরের। রাঁচির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।


আরও পড়ুন ; তৃণমূল পরিচালিত ঝালদা পুরসভায় এবার অনাস্থা প্রস্তাব কংগ্রেসের