পুরুলিয়া : পুরুলিয়ায় সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের শোরুমে ডাকাতির ছক কষা হয়েছিল জেলে বসে। ধৃতদের জেরা করে এই তথ্য মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। গত ২৯ অগাস্ট, দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ খাস পুরুলিয়া শহরে, সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের (senco gold showroom) শোরুমে ডাকাতদল চড়াও হয়। ঠিক তার ৪৫ মিনিট পর একই ঘটনা ঘটে রানাঘাটে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের চাবিগেট এলাকায় সেনকোর শোরুমে হানা দেয় ডাকাতের দল। কোটি কোটি টাকার গয়না লুঠ হয়ে যায় দিনে দুপুরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুরুলিয়ায় এই ডাকাতির পরিকল্পনা হয়েছিল জেলে বসে। রীতিমতো রেকে করে পুরুলিয়ে শহরের এই নামি গয়নার বিপণিতে লুঠ হয়। জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী পুরুলিয়া থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডে মিলিত হয় ডাকাতরা। সেখান থেকেই ২৯ অগাস্ট, দুুপুরে তারা পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়ায় গয়নার শোরুমে হানা দেয়। ৯ দিন আগে ২০ অগাস্ট থেকে পুরুলিয়ায় রেকি শুরু করে ডাকাতরা।
আরও পড়ুন :
সপ্তাহশেষে সোনার দামে বেশ পরিবর্তন, কত হল বাংলার বাজারে সোনার দাম?
এরপর ফাইনাল অপারেশনের দিন প্রায় ৮ কোটি টাকার সোনা, হিরের গহনা এবং শোরুমের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে চম্পট দেয় ৭ জনের ডাকাতদল। এই ঘটনায় ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লি থেকে বিকাশ কুমার নামে এক দুষকৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি বিহারের নালন্দায়। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর করমজিৎ সিং সিধু নামে আরও এক ডাকাতকে ঝাড়খণ্ডের সুদামডি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বাড়ি ঝাড়খণ্ডেই। বাকিদের খোঁজ চলছে। আর ধৃতদের জেরা করেই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
একইসঙ্গে নদিয়ার রানাঘাটেও সেনকো গোল্ডের শোরুমে ডাকাতি হয়। ওই ঘটনায় ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় এক কোটি টাকার গয়না। একই দিনে একই ব্র্যান্ডের দুই শো-মে ডাকাতির ঘটনায় আরেকটি প্রশ্ন প্রকট হয়েছে। তাহলে কি দুই ঘটনার পিছনে কাজ করেছিল একই গ্যাং? করলে তাদের মাস্টারমাইন্ড কে ? দুটি ডাকাতির ঘটনার মধ্যে অন্তর ছিল মাত্র ৪৫ মিনিট। এভাবে একই দিনে এক কম সময়ের ব্যবধানে একই সংস্থার দুই দোকানে কীভাবে ডাকাতি ? প্রশ্ন উঠছে।
ঝাড়খণ্ড থেকে ধৃতদের জেরা করে নতুন কোনও তথ্য উঠে আসে কি না, সেদিকে নজর থাকবে প্রত্যেকের।