সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: কুড়মি সম্প্রদায়কে (Kurmi Community তফশিলি (Scheduled Tribe) উপজাতিভুক্ত করার বিরোধিতায় আজ যে ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধ্ (West Bengal Bandh) ডাকা হয়েছে, তার আংশিক জের পড়ল পুরুলিয়ায় (Purulia)। বেশ কয়েকটি রুটে সরকারি বাস চলাচল করলেও বেসরকারি বাস হাতে গোনা রাস্তায় নেমেছে। পুরুলিয়া শহরে মেরেকেটে খোলা ছিল দোকানপাট। সব মিলিয়ে বনধে্র ছবিটা মোটামুটি স্পষ্ট। 


কী দেখা গেল?
সোমবার আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ্ ডাকা হয়। বনধ্ সফল করতে রাস্তা আবরোধ করেন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা। আজ সকাল থেকে পুরুলিয়ার লালপুর মোড়ে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া জাতীয় সড়ক এবং লালপুর-পুঞ্চা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। ফলে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তায় বন্ধ যানবাহন চলাচল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুরুলিয়ার হুড়াতেও ১২ ঘণ্টার বনধ পালন করে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। কুড়মিদের স্বীকৃতির বিরোধিতা ও ১০০ পরিবারকে বয়কটের অভিযোগেই এদিনের বনধ ডাকা হয়েছিল।


জের মালদাতেও...
চার দফা দাবিতে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ১২ ঘন্টা বাংলা বনধে্র প্রভাব পড়ল মালদাতেও।  গাজল এবং হবিবপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আদিবাসী সমাজের সদস্যরা। গাজলের বিশ মাইল এলাকায় মালদা বালুরঘাট জাতীয় সড়ক অবরোধও করা হয়। পাশাপাশি মালদার হবিবপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মালদা নালাগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে আদিবাসীদের। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।


প্রেক্ষাপট...
এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি-সহ একগুচ্ছ দাবি ছাড়াও প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে হুমকি, দুর্ব্যবহার, মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলনকারীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে এর আগে জঙ্গলমহলে কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে ১২ ঘণ্টার বন‍ধে্র  ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। বাঁকুড়ার সিমলাপালে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন কুড়মিরা। মোটরবাইক বা সাইকেল নিয়ে হাঁটতে হয় সাধারণ মানুষকে। কোথাও গাড়িও আটকে দেন আন্দোলনকারীরা। দোকানে তালা লাগিয়ে দেন বন্‍ধ সমর্থনকারী কুড়মিরা। এলাকায় বাইক মিছিলও করেন তাঁরা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাস্তায় মোতায়েন ছিল পুলিশ ও র‍্যাফ। ঝাড়গ্রাম জেলায় সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছিল এই বন্‍ধ। রাস্তায় নামেনি কোনও বেসরকারি বাস। হাতে গোনা কয়েকটি সরকারি বাস চললেও, পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। বাস বন্ধ থাকায় ফলে অসুবিধায় পড়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা। দোকানপাটও বন্ধ। তবে জরুরি পরিষেবাগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুরে বন‍্ধের প্রভাব পড়েনি সেই সময়। এবার তাঁদের স্বীকৃতির দাবির বিরোধিতায় বাংলা বনধে্ও ধাক্কা খেল রাজ্য়ের একাংশ।


আরও পড়ুন:প্রচণ্ড গরমেও হবে না সমস্যা, ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে যদি নেন এই ব্যবস্থা