সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: আলু,পিয়াজ, টোমাটো সহ বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকহারে। শহরের মতো জেলার পরিস্থিতিও প্রায় এক। এই মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বিক্রেতাদের দিকেই নানা অভিযোগের আঙুল উঠছে। এই প্রেক্ষাপটে এদিন সাত সকালেই বাজারে হানা দিলো ডিস্ট্রিক্ট  ব্রাঞ্চ ও এগ্রিকালচার মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট।


শুক্রবার সকাল ৯টায় এই যৌথ বাহিনী বড়ো হাটে সবজি বাজারে হানা দেয়। বর্তমানে পুরুলিয়ার বাজারে আলুর দাম ১৭-১৮ টাকা প্রতি কেজি ও পেঁয়াজের দাম ৪৪- ৫০টাকা প্রতি কেজি। টোমাটো প্রতি কেজি বিকোচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়।  কয়েকদিন আগে আলুর দাম ছিল ১৩-১৪ টাকা, টম্যাটো প্রতি কেজির দাম ছিলো ৪০-৪৫ টাকা, পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ টাকা প্রতি কেজি। যা এক ধাক্কায় ১৪-২০ টাকা বেড়ে যায়। 


ক্রেতাদের অভিযোগ এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী বেশী মুনাফার জন্যে বাজারে কৃত্রিম ভাবে চাহিদা তৈরি করে দাম বাড়িয়ে বেশি মুনাফা করছে। অন্যদিকে, বিক্রেতাদের অভিযোগ শহরে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য শহরের বাইরে লরি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়, ফলে বাজারে মাল আনতে অতিরিক্ত বেশি পয়সা দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি অস্বাভাবিক ভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি হয় অতিরিক্ত মাশুল দিতে হচ্ছে। হানা দিতে আসা আধিকারিকরা আলু-পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির জন্য  কয়েকজন ব্যাবসায়ীকে কড়া ধমক দেন। 


এগ্রিকালচার মার্কেটিং দপ্তরের আধিকারিক এর বক্তব্য বেশকিছু সমস্যা থাকায় এইখানে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে নাসিক থেকে যে পেঁয়াজে আসে প্রতিবছর সেই পেঁয়াজ না আসায় স্থানীয় স্তরে যে পেঁয়াজে পাওয়া যাচ্ছে তাতে নষ্টের পরিমাণ অনেক বেশি তাই খানিকটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সবটাই তাদের নজরে থাকছে, আগামীদিনের এই অভিযান চলবে। 


অন্যদিকে, আমজনতার দুর্ভোগ বাড়িয়ে উৎসবের মরশুমে শহরের বাজারেও আগুন। পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি আর নাছোড় বৃষ্টি, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার জন্য মূলত এই দুটি কারণকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে গিয়ে কার্যত ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পেট্রোল-ডিজেল থেকে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার, ভোজ্য তেল---দামের নিরিখে কে কত উঁচুতে উঠতে পারে, প্রতিদিন যেন তারই প্রতিযোগিতা চলছে।