কলকাতা: মধ্যরাতে আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুর (R G Kar Chaos)। ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালে দাপাল দুষ্কৃতীরা। আর এই ঘটনায় সরাসরি বিজেপি এবং সিপিএমের ঘাড়ে দায় চাপালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন তিনি বলেন, 'যা তথ্য পেয়েছি, ছাত্র-ছাত্রীদের কোনও দোষ দিচ্ছি না। বহিরাগত কিছু লোক, বাম-রাম এক হয়ে এই গন্ডগোল করেছে।'


কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? 


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের বাংলায় ধর্মঘট করি না, বাংলাকে অচল করার চক্রান্ত চলছে। সব ছবিই ঠিক নয়, আজকাল AI-র মাধ্যমে অনেক কিছু হচ্ছে। পুলিশকে কড়া নজর রাখতে বলেছি। সাইবার ক্রাইমে নজর দিতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, এতে আমি একমত। যা তথ্য পেয়েছি, ছাত্র-ছাত্রীদের কোনও দোষ দিচ্ছি না। বহিরাগত কিছু লোক, বাম-রাম এক হয়ে এই গন্ডগোল করেছে। কারও হাতে জাতীয় পতাকা, কারও হাতে ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা। একজন পুলিশকে এক ঘণ্টা খুঁজে পাওয়া যায়নি, গুরুতর আহত। পুলিশের অনেকেই মার খেয়েছে, কিন্তু ধন্যবাদ দেব তারা শান্তির জন্য আঘাত করেনি। আন্দোলনের সীমা নজরে থাকা উচিত, বাঁধ ভাঙা উচিত নয়। পুলিশের উর্দি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।'


গতকাল মধ্যরাতে আরজি করে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে কয়েকশো লাঠিধারীর তাণ্ডব। পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। জাতীয় পতাকা নিয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস চাই’ স্লোগান দিয়ে রড, কাচের বোতল, ইট হাতে দাপিয়ে বেড়ায় দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতী-তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে RG কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ। একতলা থেকে তিনতলা, সব ভেঙেচুরে লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয়েছে। ভাঙা হয়েছে CC ক্যামেরা। পুলিশের গার্ডরেল দিয়েই ভেঙে দেওয়া হয় হাসপাতালের কোলাপসিবল গেট। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি সত্ত্বেও চালু রাখা হয়েছিল জরুরি বিভাগ। সাধারণ মানুষ আপৎকালীন পরিষেবাটুকু পাচ্ছিলেন। কিন্তু দুষ্কৃতী হামলায় জরুরি বিভাগ কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকার যন্ত্র, ওষুধ নষ্ট হওয়ায় জরুরি পরিষেবা কবে চালু করা সম্ভব হবে, তা জানা নেই আন্দোলনকারী চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের।      


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: R G Kar Protest: প্রয়োজনে CBI সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক, নিশানা শান্তনুর