কলকাতা: আর জি কর মেডিক্যালে (R G Kar News) দুষ্কৃতী তাণ্ডবের তদন্তে এবার ১৪ এবং ১৫ অগাস্ট মাঝরাতে ডিউটিতে থাকা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীদের তালিকা এবং তাঁদের ফোন নম্বর চাইল পুলিশ। আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ওই তালিকা এবং ফোন নম্বর চাওয়া হয়েছে।


স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম ও নম্বর চাইল পুলিশ: আর জি কর মেডিক্যালে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের তদন্তে এবার ডিউটিতে থাকা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীদের তালিকা এবং তাঁদের ফোন নম্বর চাইল পুলিশ। আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ওই তালিকা এবং ফোন নম্বর চাওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে আর জি কর মেডিক্যালে কলকাতা পুলিশের সামনেই বেপরোয়া দুষ্কৃতী হামলার ঘটনা ঘটে। এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ঢুকে তাণ্ডব ও ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা।  জরুরি বিভাগের পাশাপাশি স্ত্রীরোগ বিভাগ এবং হস্টেলেও চলে ভাঙচুর। ১৪ এবং ১৫ অগাস্টের মাঝের রাতে যে সব চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মী জরুরি বিভাগ-সহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত বিভাগে ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের নাম ও ফোন নম্বর চেয়েছে পুলিশ। 


কী ঘটেছিল ওইরাতে? 


গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ স্বাধীনতার প্রাক মুহূর্তে রাতের দখল নিয়েছিল মেয়েরা। রাজ্যবাসী তো বটেই দেশের বিভিন্ন প্রাান্তেও এই প্রতিবাদে আঁচ পৌঁছে গিয়েছিল। আর এর ঘণ্টাখানেকের মধ্য়ে কার্যত বদলে যায় ছবিটা। অভিযোগ, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদই আর জি কর মেডিক্যালের সামনে ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে অন্তত দেড়শো লোক। একদল প্রথমেই আন্দোলনকারীদের মঞ্চ ভেঙে তছনছ করে দেয়। আরেকদল গেট ভেঙে ঢুকে পড়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। এমনকী জরুরি বিভাগ বিল্ডিংয়ের চারতলাতেই সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কিছুক্ষণের মধ্য়ে সেই বিল্ডিংয়ের তিনতলা অবধি পৌঁছে যায় দুষ্কৃতীরা।হস্টেলেও ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। বাদ যায়নি আরজি কর পুলিশ ফাঁড়ি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ইউনিফর্মে। এমনকী ওষুধ, ফ্রিজ থেকে বহুমূল্য চিকিৎসা সামগ্রী নষ্ট করা হয়। আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, দুষ্কৃতী তাণ্ডব দেখেও, পুলিশ প্রথমে কোনও ব্য়বস্থাই নেয়নি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: RG Kar Case: চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে, কী কী প্রশ্ন তুলল সর্বোচ্চ আদালত?