কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ডে তোলপাড় বাংলা। এই আবহে, অপরাধ ও দুর্নীতি বন্ধ করতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বদল আনার লক্ষ্য নিয়ে IMA পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল NRS মেডিক্যালে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে সেখানে একাধিক ইস্যুতে ক্ষোভ উগরে দিলেন চিকিৎসকরা। 


আর জি কর হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ অনেকেই। বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবসে কনভেনশনের আয়োজন করা হল NRS মেডিক্যাল কলেজে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার ডাকে এই কনভেনশনে, আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অপরাধ ও দুর্নীতি বন্ধ করা। IMA-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি দিলীপ দত্ত থেকে শুরু করে, ওই সংস্থার অ্যাকশন কমিটির প্রধান সৌরভ দত্ত-সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা বর্তমান ও প্রধান চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন সম্মেলনে। SSKM-র অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মেডিক্যাল টিচাররা সবসময় খুব কনফিউজড। এর সুযোগ নিয়েছে প্রশাসন। আমরা সব সময় মেনে নিয়েছি। মানে ভালো লেগেছে বলে মেনে নিয়েছি এমনটা একদমই নয়।''  IMA (পশ্চিমবঙ্গ শাখা) অ্যাকশন কমিটির প্রধান সৌরভ দত্ত বলেন, " IMA সরকারের পক্ষেও নয়, বিপক্ষেও নয়। আমরা শাসক, বিরোধী কোনও দলের sister concern নই। সরকারের দরকার হলে পাশে দাঁড়াব। যেমন covid এর সময় দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু সরকার কোনও ভুল করলে সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেব।'' প্রাক্তন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা ও আর জি করের প্রাক্তনী প্রদীপ মিত্র। তিনি বলেন, "সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন, আমরা রাজনীতি করি। আমরা আপনাদের রিকোয়েস্ট করবই। কিন্তু নিয়ম মেনে আপনার যতটা করার আপনি করবেন। সরকার থাকলে তার একটা জায়গায় থাকবে। সরকার পরিবর্তনের পর খুব ভালো কাজ হয়েছিল। ২০১৬ সালের পর সব বদলে গেল। কয়েকজন ছড়ি ঘোরাতে শুরু করল।''

সন্দীপ ঘোষের পর তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই বিরূপাক্ষকে নিয়েও এদিন ক্ষোভ ধরা পড়েছে ডায়মন্ড হারবারের মেডিক্যালের অধ্যক্ষ উৎপল দাঁ-এর কথায়। তিনি বলেন, "নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, বিশ্ববিদ্যালয় যেন টাকা খাওয়ার জন্যই তৈরি হয়েছে। আমি ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যালের অধ্যক্ষ। এসপি অফিসে লিখিত দিয়েছি। ৬-৭ বছরে প্রশ্ন বিক্রিতে জড়িয়েছে। আল্টিমেটলি কিছু হবে না। মেডিক্যাল কাউন্সিলে আছে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস সে নাকি এথিক্স পড়ায়, আমার কলেজে পড়ানোর জন্য মেল করেছিল। ঢুকলে ওঁর ঠ্যাং ভেঙ দেব বলেছি।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Aparajita Bill: রাজ্যপালকে ধর্ষণ-বিরোধী বিল নিয়ে টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠাল বিধানসভা