কলকাতা: আর জি কর মেডিক্যাল (RG Kar News) কলেজে চিকিৎসক খুনের পর, সেমিনার হলে যাঁরা গেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। ভাইরাল ছবি দেখে এমনটাই সন্দেহ ইন্ডিয়ান মেডিক্য়াল অ্য়াসোসিয়েশনের। যদিও সেদিন তিনি আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে গেলেও, সেমিনার হলে যাননি বলে দাবি বর্ধমান মেডিক্যালের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডক্টরের বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের। পুলিশ অকূস্থলের গোটা ছবি না দেখিয়ে আংশিক কেন দেখাল, এই প্রশ্ন কিন্তু উঠছে নানা মহলে।


আর জি কর-কাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য়। চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন সেমিনার হলে কে কে উপস্থিত ছিলেন, কেন ছিলেন, কার কী উদ্দেশ্য় ছিল, এসব নিয়ে এখনও অসংখ্য় প্রশ্ন। একদফায় পুলিশ ঘটনাস্থলের ছবি প্রকাশ করে বিভিন্ন ব্য়ক্তির নাম ও পরিচয় প্রকাশ্য়ে এনেছে। কিন্তু তা নিয়েও ইতিমধ্য়েই প্রশ্ন উঠছে। আর এবার ঘটনার দিন সেমিনার হলের ভাইরাল এই ছবিকে হাতিয়ার করে চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্য়াল অ্য়াসোসিয়েশনের সন্দেহ ওই দিন অকূস্থলে এই যাকে দেখা যাচ্ছে, সম্ভবত তিনি বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। 

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডক্টর। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্ল্যানিং অ্যান্ড এথিক্স কমিটির সদস্য। IMA-র পক্ষ থেকে সেমিনার হলের এই ভাইরাল ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এই ব্য়ক্তি কি বিরূপাক্ষ বিশ্বাস? সেমিনার হলে কি তিনিও সেদিন উপস্থিত ছিলেন? নানা মহলে এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ছবি ক্রপ করেছে? গোটা ছবি না দেখিয়ে আংশিক কেন দেখাল কলকাতা পুলিশ? কাউকে আড়ালের চেষ্টা হয়েছে? IMA বেঙ্গল অ্যাকশন কমিটির সদস্য অভীক ঘোষ বলেন, "ডাক্তার অভীক দের একটা ঘনিষ্ঠ লবির, যার সঙ্গে উনি যুক্ত , তেমনি আরও একটা মানুষ, যার কথা বার বার সংবাদমাধ্যমের কাছে উঠে আসছে, তিনি সব জায়গায় খবরদারি বা দখলদারি করেছেন, তাঁর নাম ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং হয়তো হতেই পারে, সেটা ফুটেজটা আরও স্পষ্টভাবে এলে, হয়তো জিনিসটা বোঝা যাবে,আমরা নিশ্চিতভাবে প্রশ্ন তুলেছি যদি ওটা বিরূপাক্ষ বিশ্বাসই হয় তাহলে তিনিই বা কোন ক্ষমতা বলে অপরাধস্থলের মধ্যে ঢুকেছিলেন।''

ঘটনার পরপর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক এবং আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় যখন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তখন তাঁদের ঠিক পিছনেই দাঁড়িয়েছিলেন অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। এবিষয়ে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বলেন, "যে সেইদিন রাত ৮টার সময়, যখন ডক্টর সুদীপ্ত রায়, অধিকর্তা স্যর, বাকি যারা কর্তৃপক্ষ ছিলেন, সেখানে আমাকে দেখা গিয়েছে। শার্টের রংটা তারা সেখান থেকেই মিলিয়ে নিন।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Birbhum News: কর্তব্যরত নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গ্রেফতার রোগী