কলকাতা : বিচার চেয়ে শাসকের রোষানলে অভয়ার পরিবার। কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) এবার পাল্টা জবাব দিলেন তাপস পালের স্ত্রী। 'আপনার মন্তব্য এত অসংবেদনশীল ও রূঢ় কেন বলুন তো ? গা পিত্তি জ্বলে যায় !' অভয়ার পরিবারকে আক্রমণ নিয়ে কুণালের তীব্র সমালোচনায় নন্দিনী পালের।


এক ফেসবুক পোস্টে নন্দিনী লিখেছেন, "কুণাল বাবু, আমি ২০ দিনের মধ্যে বাবা ও মা-কে হারিয়েছিলাম। একমাত্র সন্তান হয়েও একফোঁটা কাঁদতে পারিনি। স্বামী মারা যাওয়ার পরও তাই। কিন্তু, এই শোক আজও বয়ে বেরাচ্ছি। সময় সে কষ্ট লাঘব তো করতেই পারেনি, বরং দিন দিন তা আরও বেড়েছে। দয়া করে জানুন, কষ্ট-বেদনা ও তার আত্মপ্রকাশ বড়ই ব্যক্তিগত। সবাই সবার সামনে দেখাতে পারে না। তাই তাঁরা ভাববেন না, দয়া করে। আপনার মন্তব্য এত অসংবেদনশীল ও রূঢ় কেন বলুন তো ? গা পিত্তি জ্বলে যায় ! দোষী কি একজন ? নাকি বাবা-মা কাঁদছেন না মানেই ওঁরা ওঁদের মেয়েকে মেরেছেন ? কী বলতে চাইছেন বলুন তো !!!" 



এর আগে অভয়ার বাবা-মাকে আক্রমণ করে কুণাল বলেছিলেন, "কেন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা আক্রমণ করছেন ? মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ তো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশকে ধরেছে। তাঁরা কিছু অন্ধ তৃণমূল-বিরোধী, বাম-অতি বাম এবং চক্রান্তকারীদের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে তাঁরা সমানে তাঁদের অবস্থান বদলাচ্ছেন। আমাদের বিস্ময় লাগছে, যে বাবা-মার বুক ভেঙে গেছে, মেয়ের মৃত্যু...  সেই দিন থেকে বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে রোজ স্নায়ু ধরে রেখে এক একদিন এক একরকম স্টেটমেন্ট দিয়ে যাওয়া, কী করে হতে পারে ?"



আর জি কর-কাণ্ডে দিনকয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। মেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারী, সঙ্গে সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী। তাঁর মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকারই পুরো দায়ী। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতায় থাকার কোনও যুক্তি নেই, বলে মন্তব্য করেছিলেন আর জি কর মেডিক্যালে নিহত চিকিৎসকের বাবা। তিনি বলেছিলেন, "আমার মেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারী ছিল এবং একজন ছাত্রী ছিল কলেজের। সুতরাং রাজ্য সরকার এই দায় এড়িয়ে আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য, আমি সরাসরি বলছি রাজ্য সরকার পুরো দায়ী। এই অবস্থাতে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতায় থাকার কোনও যুক্তি নেই। ওঁর এই দায় পুরো কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করা এখনই উচিত।"