কলকাতা: আর জি কর মেডিক্যালে (R G Kar Protest) তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে নার্সিং স্টাফরা। নিরাপত্তা না পেলে কাজ করবেন না বলে জানিয়ে দিলেন তাঁরা। পুলিশের সামনেই চলল বিক্ষোভ। যোগ দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। ক্ষোভের মুখে পড়তে হল নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকেও।
অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ: গতকাল রাতে সশস্ত্র বহিরাগতদের তাণ্ডব চালানোর সময় উল্টে পুলিশকেই নিরাপত্তা দিতে হয়েছে তাঁদের। স্ত্রীরোগ বিভাগের শৌচাগারে লুকিয়ে ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও বহিরাগতদের আটকানোর কোনও চেষ্টাই করেনি পুলিশ। উল্টে নিজেরা সরে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ঢোকার রাস্তা পুলিশই করে দিয়েছিল বলে তাঁদের অভিযোগ। হাসপাতালের অধ্যক্ষ, সুপার-সহ প্রশাসনের কেউই ঘটনার পর তাঁদের খোঁজ নেননি বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারী নার্সিং স্টাফরা।
গতকাল মাঝরাতে RG কর মেডিক্যাল কলেজে পুলিশের সামনেই প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে কয়েকশো লাঠিধারীর তাণ্ডব। জাতীয় পতাকা নিয়ে ‘জাস্টিস চাই’ স্লোগান দিয়ে রড, কাচের বোতল, ইট হাতে দাপিয়ে বেড়ায় দুষ্কৃতীরা। হাসপাতাল চত্বর থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত গোটা এলাকা ঘণ্টাতিনেক ধরে হয়ে ওঠে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল। ভাঙচুর চলল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি, HDU, ENT বিভাগ, নার্সিং স্টাফদের ঘর, মেডিসিন স্টোর। তিনতলায় কব্জা সমেত উপড়ে ফেলা হয় তদন্তকারী সংস্থার সিল করা দরজা। সিঁড়ি দিয়ে উঠে চারতলার সেমিনার হলেও ভাঙচুর চালানোর পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীদের। আলো নিভিয়ে, চারতলার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে রক্ষা করা হয় সেমিনার হল। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় অক্সিজেনের পাইপ, ভেন্টিলেটর। ভাঙচুর চলে হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি, ব্যারাক, OC-র ঘর, CC ক্যামেরার সার্ভার রুমে। রেফ্রিজারেটর উল্টে মাটিতে পড়ে নষ্ট হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার ওষুধ। পুলিশের গার্ডরেল দিয়েই হাসপাতালের কোলাপসিবল গেট ভাঙে হামলাকারীরা। ভাঙা হল আন্দোলনকারীদের মঞ্চ। ইটের ঘায়ে জখম হন ১৫ জন পুলিশ কর্মী। মাথা ফাটে মানিকতলা থানার OC দেবাশিস দত্তর। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে DC নর্থ অভিষেক গুপ্ত।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: R G Kar Chaos: মধ্যরাতে রণক্ষেত্র আর জি কর মেডিক্যাল, কী বললেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার?