কলকাতা : নবান্ন অভিযানে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কলকাতা ও হাওড়া জুড়ে। বিশেষত পার্কস্ট্রিটে গিয়ে পুলিশ মিছিল আটকালে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রতিবারে রাস্তায় বসে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সেখানে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। দাবি করা হয়, পুলিশের লাঠিতে আহত বিজেপির বিধায়করা। প্রায় ১০০ জন আন্দোলনকারী আক্রান্ত। পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হয়েছেন নিহত চিকিৎসকের বাবা-মাও, বিস্ফোরক দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
অভয়ার মায়ের অভিযোগ, তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারা হয়েছে। রক্ত ঝরেছে অভয়ার মা ও বাবার। এমন ভাবে মারা হয়েছে আঘাত পেয়েছেন মাথায়। ভেঙে গিয়েছে তাঁর শাঁখাও। তাঁর অভিযোগ, বাড়ি থেকে বেরনোর পর বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির অভিযোগ, অভয়াকে খুন করার পর তাঁর মা-বাবাকেও মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র এটি। এই ঘটনার বিরুদ্ধে হাওড়া ময়দানে শাঁখা পলা দেখিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন মহিলা আন্দোলনকারীরা।
অভয়ার বাবার দাবি, 'আমরা আসার সময় অনেক উৎপাত করেছে। গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করছিল। যে গাড়িতে আসছিলাম গাড়ির নম্বর কলকাতা পুলিশের কাছে পৌঁছে গেছে। লুকোচুরি খেলে আসতে হয়েছে। এটা তৃণমূলের পুলিশ।'
এদিন RG কর কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে নবান্ন অভিযানের মিছিল আটকাতে তৎপর ছিল পুলিশ। রেড রোডের দুই প্রান্ত থেকে হাওড়ার বিভিন্ন রাস্তায় বসিয়ে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। কোথাও বসিয়ে দেওয়া হয় বড় বড় ২টি কন্টেনার। নবান্নমুখী রাস্তাগুলো আটকে দেওয়া হয় বাঁশ ও লোহার ব্যারিকেডে। পুলিশে পুলেশ ছয়লাপ হয়ে যায় ফোরশোর রোড। মোতায়েন ছিল পুলিশ, র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। তারই মধ্যে শুরু হয় অভিযান। পুলিশ নির্ধারিত জায়গা পেরিয়ে নবান্ন পর্যন্ত এগোতে চায় মিছিল। তখনই বাঁধে ধুন্ধমার। পার্কস্ট্রিটে অবস্থানে বসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'ভয় পেয়েছে। মারাত্মকভাবে ভয় পেয়েছে। আপনারা জানেন, একমাত্র দল ভারতীয় জনতা পার্টি, তারা অভয়ার বাবা-মার অনুরোধকে যুক্তিপূর্ণ মনে করে সরাসরি বলেছে যে আমাদের সব কর্মী সমর্থকরা বিনা পতাকাতে যাবে। পরিবার একা নয়, আমরা আছি। বাকিরা তো কোনও ভূমিকা পালন করেনি। এরপরে স্বতঃস্ফূর্ত জনগণ আছে। স্বাভাবিকভাবে সরকার, এই যে মেরুদণ্ড সোজা রেখে ডাক্তার বোনের বাবা-মার যে লড়াই, তার সঙ্গে সমস্ত রাষ্ট্রবাদী, দেশপ্রেমিক বাংলার জনগণের যে সমর্থন, তাকে ভয় পেয়েছে বলেই এই কাণ্ডকারখানাগুলো করছে। '