ব্যথা-যন্ত্রণা হোক বা জ্বর-জারি, যখন-তখন প্য়ারাসিটামল খাওয়ার অভ্যেস অনেকেরই। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই মুড়িমুড়কির মতো পানকিলার বা প্যারাসিটামল খাওয়ার অভ্যেস অনেকেরই। মাথাব্যথা থেকে পিঠে ব্যথা, কোথাও আঘাত পেয়ে ব্যথা থেকে রোজকার ব্যথাযন্ত্রণা, একটু স্বস্তি পেতে পেনকিলার খেয়ে নেন অনেকেই। কিন্তু এই অভ্যেস কতটা ক্ষতিকারক হতে পারে, তা হয়ত জানেন না অনেকেই। গবেষণা বলছে, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পেনকিলার খাওয়া কতটা বিপদ ডেকে আনতে পারে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, মুড়ি মুড়কির মতো,  দীর্ঘ সময় ধরে ব্যথানাশক ওষুধ খেলে হার্টের ক্ষতি অনিবার্য। চিকিৎসকদের মতে, অনেকেই ছোটখাটো সমস্যার জন্য পেনকিলার খান। কিন্তু পরে এর ক্ষতি জানান দেয়। 

গবেষকদের মতে, ব্যথানাশক ওষুধ, বিশেষ করে আইবুপ্রোফেন, ডাইক্লোফেনাক বা ন্যাপ্রোক্সেন, শরীরের প্রদাহ এবং ব্যথা কমায়। কিন্তু এই ওষুধগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পড়ে কিডনির উপর, সেই সঙ্গে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতার উপরও।  চিকিৎসক রজনীশ কুমারের মতে, যাঁদের ইতিমধ্যেই হৃদরোগ, রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা বা ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। প্রতিদিন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক এবং ক্রনিক কোনও রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য পেনকিলার খাওয়া বেশি ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।  

ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার পর খেয়াল রাখুন,এই লক্ষণগুলি আপনার শরীরে দেখা দিচ্ছে কি না।  

  • শ্বাস নিতে অসুবিধা
  • পা বা গোড়ালিতে ফোলাভাব 
  • দ্রুত হৃদস্পন্দন বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
  • হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি পেনকিলারের নিরাপদ বিকল্প কী হতে পারে?

ব্যথানাশক ওষুধ না খেয়ে, কিছু প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ বিকল্প ব্যবহার করে দেখতে পারেন। যেমন -

  • গরম বা ঠান্ডা কম্প্রেস - পেশী ব্যথায় উপকারী
  • হালকা স্ট্রেচিং এবং যোগব্যায়াম - জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে
  • ভেষজ পানীয় - আদা, হলুদ বা সবুজ চা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে
  • ধ্যান চাপজনিত মাথাব্যথার জন্য কার্যকর 

ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ায় চটপট ব্যথা নিরসনের একটি সহজ উপায়।  কিন্তু  ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া, যখন-তখন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।  ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।