কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই এবার বেনজির পদক্ষেপ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। রবীন্দ্রভারতীর নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য (RBU Interim Vice Chancellor) পদে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে বসাল রাজভবন। কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati University) অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছে রাজভবন।


অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পিস অ্যান্ড সোশাল ইন্টিগ্রেশন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। 'বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ প্রশাসনের জন্য এই পদক্ষেপ', শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে, বার্তা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose)। সংঘাত বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। যে জল গড়িয়ে আদালত পর্যন্তও। রাজ্যের তরফে রাজ্যপালের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) অবশ্য রাজ্যপালের পক্ষেই গিয়েছিল রায়। এর মাঝেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরেজমিনে দেখার মাঝে উত্তরবঙ্গে গিয়ে কোনও পড়ুয়াকে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করার বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যদিও তেমনটা এখনই না করে এবার সংঘাতের আবহ বাড়িয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সেই আসনে বসালেন তিনি।


যে নিয়োগ প্রসঙ্গে পিস অ্যান্ড সোশাল ইন্টিগ্রেশন কমিটির প্রধান ও রবীন্দ্রভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের বার্তা, 'একজন ছাত্রকে ছাত্রের মতো আচরণ করতে হবে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় থাকলে যা খুশি করতে পারেন, এই মানসিকতা বদলাতে হবে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা এই সব ছাত্রদের ব্যবহার করেন শিক্ষকদেরই একাংশ। এ রাজ্যে বহু মানুষ রাজনৈতিক হিংসার বলি হচ্ছেন, এমন চললে শান্তি ফিরবে না'।


প্রসঙ্গত, স্থায়ী উপাচার্য হতে গেলে ইউজিসি-র গাইডলাইন অনুযায়ী, দশ বছরের অধ্যপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হতে গেলে অবশ্য সেই নিয়ম খাটে না। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত গিয়েছে আদালতের দরজা পর্যন্ত। যে নিয়োগকে বৈধ বলেই রায় দিয়েছে আদালত। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে (University) রাজ্যপাল বিভিন্ন অধ্যাপককে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন। রাজ্যের সঙ্গে যে নিয়োগ নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল কোনও আলোচনা করেননি বলে জানিয়ে নিয়োগকে অবৈধ বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (West Bengal Education Minister Bratya Basu)।


আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন? জরুরি তথ্যগুলো জেনে রাখুন


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI