কলকাতা: বাংলায় রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা'-র আগেই ছন্দপতন। মূলত লোকসভা নির্বাচনের আগে BJP বিরোধী I.N.D.I.A শিবিরে জোর ধাক্কা। আসন সমঝোতা নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে বাংলায় একা লড়ার ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ব্যাপারে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলে যেমন জানিয়েছেন, তেমনই জানিয়েছন, নির্বাচনের পর পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন। মমতার এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। এহেন সময়েই দেখতে দেখতে বাংলা থেকে বিহারের পথে রাহুলের 'ন্যায় যাত্রা।' তবে বঙ্গে জোট টানাপোড়েনের মধ্যেই শিলিগুড়িতে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা রাহুল গান্ধীর। বললেন, 'দেশকে রাস্তা দেখাক বাঙালি, নইলে দেশ ক্ষমা করবে না।'


অপরদিকে, পাল্টা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলকে  গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। দু'দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। এরমধ্যেই আজ চোপড়ায় রয়েছে কংগ্রেসের কর্মসূচি। তারপরই বিহারে প্রবেশ করবে ন্য়ায় যাত্রা। , রবিবার, শিলিগুড়িতে কংগ্রেসের ভারত জো়ড়ো ন্যায় যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় সনিয়া-পুত্রের কর্মসূচিতেও থাকছে স্থানীয় বাম নেতৃত্ব। তবে ৩১ জানুয়ারি, মালদা থেকে শুরু হতে চলা রাহুল গান্ধীর দ্বিতীয় পর্যায়ের ন্যায় যাত্রাকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে সিপিএম।  কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাহুলের ন্যায় যাত্রায় সামিল হতে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে।


প্রসঙ্গত, জোটধর্ম ভাঙার দায় কংগ্রেসের ওপর চাপানোর কৌশল তৃণমূলের? কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, কংগ্রেসের অধ্যক্ষ কথা বলেছেন। রাহুলজি কথা বলেছেন। আমাদের সংগঠনের সেক্রেটারি কথা বলেছেন। আর যদি কোনও লিখিত আমন্ত্রণ পত্র থাকে আমি কপি চেয়ে আপনাদের দিতে পারি। কিন্তু, আমি জানি যে ৩-৪ বার খাড়গেজি, নিজের ভাষণে বলেছেন, সব I.N.D.I.A-র অন্তর্ভুক্ত সব দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।' 


আরও পড়ুন, দুর্ঘটনায় জখম ২ DYFI কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করালেন TMC নেতা, জমা দিলেন প্রাথমিক টাকাও 


মূলত, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় যখন কংগ্রেসে ছিলেন, তখন থেকেই অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর তিক্ত সম্পর্ক। সোমেন মিত্রর উদ্যোগে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে ১৯৯১ সালের বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন অধীর। সে বার হাজার দু’য়েক ভোটে তিনি হেরে যান। ১৯৯৬ সালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ফের ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিলেন অধীরকে। তৎকালীন রাজ্য যুব কংগ্রেস সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জোরালভাবে সরব হয়েছিলেন। কিন্তু সেবার প্রায় ২০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন অধীর। সেই তিক্ততা আজও যায়নি। অধীর চৌধুরী মানেই কট্টর মমতা বিরোধী।