রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: দু'হাজার টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছিল কচ্ছপের (Turtle) মাংস (meat)। খবর পেয়েই অভিযানে নামল বন দফতর (forest department)। অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়। তবে কুড়ি কিলো কচ্ছপের মাংস উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। নাথুয়াহাট পুরাতন বাজার এলাকার ঘটনা।
কী ঘটেছিল?
গোপন সূত্রে খবর এসেছিল, নাথুয়াহাট পুরাতন বাজার এলাকায় কচ্ছপের মাংস বিক্রি হচ্ছে। সেই মতো সেখানে অভিযান চালান বন দফতরের নাথুয়া রেঞ্জের কর্মীরা। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, তাঁদের আসতে দেখেই মাংস ফেলে পালায় বিক্রেতা দুই যুবক। বন দফতর সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে, বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিনের ঘটনা নিয়ে অনারারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরীর বক্তব্য, 'আমাদের অনুমান, কচ্ছপগুলি ডায়ানা নদী ও মূর্তির জঙ্গল লাগোয়া নদী থেকে ধরা হয়েছে। চড়া দামে মাংস বিক্রির চেষ্টা চলছিল। উদ্ধার করা মাংস নাথুয়া রেঞ্জে রাখা হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়াটির সঙ্গে জড়িতদের খোঁজ চলছে।'
কচ্ছপ চোরাচালানের অভিযোগ আগেও ...
গত মে মাসেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ কচ্ছপ উদ্ধার হয়। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ওই অভিযানে বাইশ বস্তা কচ্ছপের হদিস মেলে যার ওজন প্রায় এক টনের উপর। প্রায় পাঁচশোটি কচ্ছপ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয় দুই পাচারকারীকে। তার আগে এপ্রিলে মালদার গাজোলের এক মাংস বিক্রেতার থেকেও ১৯টি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছিল। পাচারকারীকে ধরতে ক্রেতা সেজে অভিযান চালায় বন দফতর। সে সময় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য জন হাত ফসকে পালিয়ে যায়। ধৃত ব্যক্তি আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ। তাঁকে জেলা বন দফতরে রাখা হয়েছিল। মোটের উপর জীবন্ত কচ্ছপ হোক থেকে কচ্ছপের মাংস, সব কিছুর উপরই অসাধু নজরের অভিযোগ উঠেছে বার বার।
সেই তালিকায় নয়া সংযোজন এদিনের ঘটনা।
আরও পড়ুন:কীভাবে হল চাকরি ? নীলাদ্রিশেখরের মেয়েকে আড়াই ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডি-র