জয়দীপ হালদার, রায়দিঘি (দক্ষিণ ২৪ পরগণা) : শ্বাসকষ্টের প্রবল সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রোগী। কিন্তু সেরে ওঠার কোনও লক্ষণই ছিল না। বরং ক্রমশ স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল। সেই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। সেই সময়েই ঘটে বিপত্তি। আচমকাই রোগীর মুখ থেকে মাস্ক সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর রোগীর মৃত্যু হলে তা নিয়ে শুরু হয় তুলকালাম। 


ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দিঘিতে। চিকিৎসার গাফিলতিতে অভিযোগে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে। 


ঠিক কী অভিযোগ?
মঙ্গলবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে কালিদাসী হালদারকে (৫১) রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতলে ভর্তি করেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজনেরা। এদিকে ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন তাঁকে। হাসপাতাল থেকে রোগী বের করার প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই আচমকা হাসপাতালের এক নার্স রোগীর মুখ থেকে অক্সিজেন মাক্স খুলে নেওয়ার পরই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কালিদাসী, পরিবারের তরফে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে। 


এই ঘটনার পরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয় স্বজনরা। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয় প্রথমে। কিন্তু রোগীর মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আত্মীয় পরিজনেরা। মাস্ক খোলার অভিযোগ নিয়েই উত্তপ্ত হতে শুরু করে পরিস্থিতি। ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে পরিস্থিতি। এই খবর পেয়ে রায়দিঘি থানার পুলিশ  হাসপাতালে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
 
শ্বাসকষ্টে ভর্তি হওয়া রোগীর মুখ থেকে কেন আগেই অক্সিজেন মাস্ক খোলা হল, এই প্রশ্ন নিয়েই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাসপাতাল চত্বর। এরপর ওই নার্সের বিরুদ্ধে চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয়-স্বজনরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়াৱ আশ্বাস দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশীষ রায়।