সুনীত হালদার, হাওড়া: বাইকের সঙ্গে বাসের (Motorbike And Bus Clash) মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন এক রেলকর্মী (rail worker clash)। শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শ্যামপুরের বনমালীপুর গ্রামের উলুবেড়িয়া শ্যামপুর রোডে (uluberia accident)। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম কল্যান বালিয়াল। বয়স ৫৭ বছর।


কী ঘটেছিল?
কল্যাণ শ্যামপুরের মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা। প্রতিদিনের মতো এদিনও বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন ওই রেলকর্মী। সেই সময় কমলপুর বারাসাত রুটের একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই ছিটকে পাড়েন ওই বাইক চালক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। শ্যামপুর থানার পুলিশ বাসটিকে আটক করলেও চালক পলাতক। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে ওই এলাকায় মাটি খুঁড়ে জলের লাইন বসানোর কাজ চলছে। এর ফলে রাস্তা খোড়া হয়েছিল। সেখান থেকেই কি দুর্ঘটনা? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা উলুবেড়িয়ায় প্রথম বার ঘটেনি।


নভেম্বরেও দুর্ঘটনা...
গত নভেম্বরেই সড়ক দুর্ঘটনায় তিন যুবকের প্রাণ গিয়েছিল উলুবেড়িয়ায়। সন্ধ্যার দিকে ১৬ নং জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আর এক জন মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় উলুবেড়িয়ার দিক থেকে একটি বাইকে করে তিনজন যুবক পাঁচলার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় একটি গাড়ি তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার জোড়াকলতলায়। পুলিশের দাবি, বাইক আরোহীদের কারও মাথায় কোনও হেলমেট ছিল না। সূত্রের খবর, নিহতদের নাম শেখ মমতাজুল, শেখ বাবর আলী এবং সেখ শরিফুল। তিন জনেরই বয়স তিরিশের মধ্যে। উলুবেড়িয়ার নিমদিঘির বাসিন্দা ওই তিন যুবকের মর্মান্তিক পরিণতিতে এলাকায় শোকের ছায়া। যদিও রেকর্ড বলছে, উলুবেড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা একেবারেই অপরিচিত নয়। কিন্তু তা হলে সেটি নিয়ে কেন সচেতন হচ্ছে না প্রশাসন? আরোহীদেরই বা কেন টনক নড়ছে না? তার আগে, গত অক্টোবরে উলুবেড়িয়ার জগৎপুরে বেপরোয়া অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল মা-মেয়ের। সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। সে বার মৃতদেহ আটকে রেখে, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। তাই দ্রুত আন্ডারপাস করে দিতে হবে। 


 


আরও পড়ুন:বিজেপির জেলা সভাপতিকে জুতোপেটা মহিলা কর্মীর, মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে ধুন্ধুমার