ব্লুমফন্টেন: প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজয়। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম ম্যাচে হার। বাইশ গজে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সময়টা ভাল যাচ্ছে না। কেন এই ব্যর্থতা? বিশ্লেষণ করলেন বেন স্টোকস (Ben Stokes)।


দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের (SA vs Eng) মধ্যে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে। ২৭ রানে হারতে হয় ইংল্যান্ডকে। আর এই হারের পর ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়ক বেন স্টোকস মনে করেন, অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি ম্যাচ খেলা তাদের হারের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরাজয়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে টানা চার ওয়ান ডে ম্যাচে হার ইংল্যান্ডের। সমালোচনায় জর্জরিত হচ্ছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট। এই পরিস্থিতির জন্য অতিরক্ত ক্রিকেটকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন স্টোকস।


বেন স্টোকস বলেছেন, 'এখন প্রত্যেক দলকে অনেক বেশি ক্রিকেট খেলতে হয়। সেই জন্য প্রতিটা ফর্ম্যাটে আলাদা আলাদা দল থাকা দরকার। বেশ কিছু দল প্রত্যেক ফর্ম্যাটে আলাদা আলাদা দল রাখার সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে। এটা ভালে দিক। তাহলে প্রত্যেক ক্রিকেটারের উপর চাপ পড়বে না।'


ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দাসেনের দুর্দান্ত শতরানে জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ২৭১ রানে গুটিয়ে যায়। তবে ইংল্যান্ড এক সময়ে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৪৬ রানে পৌঁছে যায়। তখন মনে করা হচ্ছিল অনায়াসে ম্যাচ জিতে যাবে ইংল্যান্ড। কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। প্রোটিয়া পেসার সিসান্দা মাগালা ৩ উইকেট এবং এনরিখ নোখিয়া ৪ উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন মাগালা। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে এবারের বিশ্বকাপে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করার সুযোগ রয়েছে। ফলে এই সিরিজ প্রোটিয়াদের কাছে খুব গুরুত্বরপূর্ণ।


স্টোকস একটি ইঙ্গিতপূর্ণ ট্যুইটও করেছেন। লিখেছেন, ইংল্যান্ডের সমস্যা শুরু হচ্ছে 'এস' দিয়ে আর শেষ হচ্ছে 'ই' দিয়ে। সব মিলিয়ে ইংল্যান্ড কবে ঘুরে দাঁড়াবে, অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।                               




আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা উঠতেই নতুন স্ট্রাইকারকে দলে নিল ইস্টবেঙ্গল