কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের( Cyclone Jawad) প্রভাবে শুরু হয়েছে বৃষ্টি (Rain)। আর এতেই দুশ্চিন্তায় পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার ধানচাষিরা (Farmers)। মাঠেই পড়ে রয়েছে ধান। ফলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। ধান নষ্টের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার কৃষকরাও।


জুলাইয়ের বর্ষায় কেলেঘাইয়ের জলে ভেসে গিয়েছিল বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি।ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল ধান চাষের।সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই, ফের ক্ষতির ভ্রুকুটি।ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি।কালো আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার ধানচাষিরা।কারণ এখনও পুরোপুরি ঘরে তোলা যায়নি পাকা ধান। ফলে বৃষ্টির জলে ফসল নষ্টের আশঙ্কা প্রতি পদে।


এই অবস্থায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।এগরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রসরাজ দাস অধিকারী কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।


অন্যদিকে, ঘুম উড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের কৃষকদেরও।জওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায়, মাঠের ফসল মাঠেই মারা যেতে বসেছে।তবে প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, চাষে ক্ষতি হলে তা মেটানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে।


ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীপুরে।ফসলের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গ্রামে গ্রামে মাইকে প্রচার চালাচ্ছে কৃষি দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষিপ্রধান এলাকা ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, দাসপুরে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে। জমিতে থাকা পাকা ধান দ্রুত কেটে নিয়ে গুদামে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আলু ও সবজি চাষিদেরও নিকাশি পরিষ্কার রাখার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শুরু হয়েছে ধান কাটা। বৃষ্টির মধ্যেই মাঠ থেকে ফসল কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা। কেউ ধান কাটার যন্ত্র ছাড়াই হাতে কেটে তুলে নিচ্ছেন ফসল।


ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের আসার আগেই মেদিনীপুর পুরসভায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সম্ভাব্য ক্ষতির আশঙ্কায় এলাকা চিহ্নিত করে মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ টিম। জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন, সব জায়গায় ত্রাণ শিবির প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের। অধিকাংশ জায়গায় বাঁধ নির্মাণের কাজও সম্পূর্ণ হওয়ার পথে, জানিয়েছেন মন্ত্রী।


ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের আশঙ্কায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আজ থেকে রবিবার পর্যন্ত হুগলি জেলার সমস্ত ফেরিঘাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর ফলে উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার একাংশের সঙ্গে হুগলির জলপথে যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি, হুগলির গ্রামীণ এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে মাইকে প্রচার।