কলকাতা: রস টেলর (Ross Taylor) এখনও সম্ভবত ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না, কীভাবে ওই বল তাঁর অফস্টাম্প ভেঙে দিতে পারে!


মহম্মদ সিরাজের (Mohammed Siraj) বলটি মিডল স্টাম্পে পড়েছিল। তারপর অতর্কিতে তা বেরল বাইরের দিকে। এতটাই দ্রুততার সঙ্গে যে, টেলর কিছু বুঝে ওঠার আগেই তা পেরিয়ে গেল ব্যাট। অফস্টাম্পের ওপরের দিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল বেল। নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটারকে রীতিমতো কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে দিয়ে। দিনের শেষেও সিরাজের যে ডেলিভারি নিয়ে আলোচনা চলল। অনেকেই বলে দিলেন, আজাজ পটেলের দশ উইকেট নেওয়ার দিনে সেরা বলটা বেরল হায়দরাবাদের পেসারের হাত দিয়েই।


সব মিলিয়ে তিন উইকেট নিলেন সিরাজ। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গেল মাত্র ৬২ রানে। ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে যা কিউয়িদের সর্বনিম্ন স্কোর (Ind vs NZ)।


কিন্তু যে পিচে নিউজিল্যান্ডের পেসাররা মাথা ঠুকেও কোনও উইকেট বার করতে পারলেন না, সেখানে কোন মন্ত্রে এই সাফল্য? বল করার সময় বাইশ গজকে যেন চেনাই যাচ্ছিল না, এতটাই দাপট ছিল আপনার... দ্বিতীয় দিন খেলার শেষে এবিপি লাইভের প্রশ্ন শুনে সিরাজ বললেন, 'নিউজিল্যান্ডের পেসাররা উইকেটের বাইরে বাইরে বল করে গিয়েছে। তাই অতটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। আমি বল করার সময় ঠিকই করে নিয়েছিলাম যে, স্টাম্প লক্ষ্য করে বোলিং করব। করেওছি তাই। সেটাই ফারাক গড়ে দিয়েছে।'


টেস্ট ক্রিকেটের দুর্দান্ত বিজ্ঞাপন, আজাজের কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত ৯ বছর আগে ভারতের ঘাতক


যে পিচে স্পিনাররা ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, সেখানে গতির আগুন ছোটালেন সিরাজ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে হাতে চোট পেয়েছিলেন। প্রথম টেস্টে খেলেননি। ফিট হয়ে দ্বিতীয় টেস্টে দলে ফিরেই ছন্দে ডানহাতি পেসার। সিরাজ বলছেন, 'আমি শুরুতেই স্যুইং হচ্ছে কি না দেখে নিই। স্টাম্প লাইনে বল পড়ে স্যুইং হলে ব্যাটারদের বেশি সমস্যা হয়। সেটাই করার চেষ্টা করেছি। আমার পরিকল্পনাই ছিল টানা এক লাইনে বল করে যাব।'