কলকাতা; সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে রিকশ চালকের দেহ। এবার রাজারহাটে (Rajarhat) উদ্ধার মাছ ব্যবসায়ীর (Fish Businessman) মৃতদেহ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজারহাট লাঙ্গোল পোতায় (Langalpota)। জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে মাঝরাস্তা থেকে উদ্ধার হয় ব্যক্তির দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন ভোরে রাস্তার ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় মাছ ব্যবসায়ীকে পড়ে থাকতে দেখে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পাশেই পড়ে ছিল ওই ব্যক্তির বাইক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। 


পুলিশ সূত্রে খবর, আজ ভোর বেলায় স্থানীয়রা রাজারহাট থানায়  (Rajarhat Police station) খবর দেয় যে রাজারহাট চৌমাথা থেকে খরিবাড়ি যাওয়ার রাস্তার লাঙ্গোলপোতায় এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 


জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি মাছিভাঙ্গার বাসিন্দা নাম চিরঞ্জিত তরফদার। পুলিশের অনুমান আজ ভোর বেলায় মাছ কিনতে বাইকে করে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে কোনও গাড়ি ধাক্কা মেরে চলে গিয়েছে। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। ঘাতক গাড়ির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে সেই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আজ মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট মিললেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।


সম্প্রতি যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার হল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) পটাশপুরে (Pataspur)। পেশায় রিকশ চালক ওই যুবককে কে বা কারা, কেন খুন করল খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সাতসকালে চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur)পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের বিশ্বনাথপুর গ্রামে।


বিশ্বনাথপুর গার্লস হাইস্কুলের (Biswanathpur Girls High School) কাছে স্থানীয় এক যুবকের (Youth Deadbody) মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম বাপি নায়েক। বয়স ৩০। পেশায় ছিলেন রিকশ চালক। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ভোররাতে তাঁরা গুলির শব্দ শুনেছিলেন। সকালে দেখা যায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাপির মৃতদেহ। 


পটাশপুর (Pataspur) বিশ্বনাথপুরের বাসিন্দা তপন মাইতি জানিয়েছেন, ওই যুবকের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapur) থেকে আসা দুষ্কৃতী দলের সামনে হতো পড়ে গিয়েছিল। মেরে দেওয়া হয়েছে।


ঘটনা নিয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চায়নি মৃতের পরিবার। পটাশপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের অপরাধের কোনও রেকর্ড নেই। কে বা কারা তাঁকে কেন খুন করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।