বিজেন্দ্র সিংহ, অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: রামমন্দির চত্বরের বিভিন্ন জায়গা জুড়ে বাংলার ছোঁয়া। নয়ের দশকে এ রাজ্য় থেকে যে সব ইট অযোধ্য়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, মন্দির তৈরির কাজে তা ব্য়বহার করা হয়েছে। বড়বাজারের কোঠারি ভাইদের স্মৃতিতে অযোধ্যায় তৈরি হয়েছে বিশেষ ক্য়াম্প। বাংলা থেকে যাওয়া ফুলে সেজে উঠেছে মন্দির চত্বর।
রামমন্দিরে বাংলার ছোঁয়া: রামলালার দর্শন করতে ভিড় জমাচ্ছেন ভক্তরা। অযোধ্যায় (Ayodhya) এখন সাজ সাজ রব। প্রায় আড়াই একর জমির ওপর তৈরি এই মন্দিরে রয়েছে বাংলার ছোঁয়াও। মন্দিরের কাঠামো তৈরিতে যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে রয়েছে এরাজ্য থেকে পাঠানো ইট। নয়ের দশকে রামমন্দির আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রীরাম লেখা ইট আনা হয়েছিল করসেবকপুরমে। করসেবকপুরমের কার্যশালা এখন শূন্য। বিভিন্ন ভাষায় শ্রীরামের নাম লেখা ইট গেঁথে তৈরি হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দির।
১৯৯০ সালে করসেবা করতে অযোধ্যায় এসেছিলেন কলকাতার বড়বাজারের দুই ভাই রামকুমার কোঠারি এবং শরদ কোঠারি। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে তাঁরাও আশ্রয় নিয়েছিলেন এই করসেবকপুরমে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন দুই কোঠারি ভাই। তাঁদের স্মৃতিতে স্টল দিয়েছে রাম শরৎ কোঠারি স্মৃতি সঙ্ঘ। বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে চা, বিস্কুট। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ডাকে রাম মন্দিরের উদ্বোধনে অংশ নিতে অযোধ্যায় পৌঁছে গেছেন দুই করসেবক রামকুমার কোঠারি ও শরদ কোঠারির বোন পূর্ণিমা কোঠারি।
সোমবার মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার। ফুলের মালায় সেজে উঠেছে অযোধ্যা নগরী। দেশের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি, অযোধ্য়া ফুল পৌঁছেছে কলকাতা থেকেও। হাওড়ার মল্লিকঘাট ফুল বাজার, পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, নদিয়ার রানাঘাট, উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর থেকেও ফুল পৌঁছচ্ছে অযোধ্যায়। সব মিলিয়ে রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে ভক্তি আর আবেগে ভাসছে অযোধ্যা নগরী।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Tapas Pal Family: 'মনে হচ্ছে ব্রিটিশ বা বাম আমল ভাল ছিল' শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুলে একঘরে! অভিযোগ তাপস পালের পরিবারের