কলকাতা: কেষ্টপুরে লকেটদের মিছিল আটকাল পুলিশ। সল্টলেকে ঢুকতে বাধা লকেটদের। নিউটাউন থেকে মিছিল আটকাল পুলিশ। এদিন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ চাইছে আমরা গন্ডোগোল পাকাই। হিংসা ছড়াই। প্ররোচনায় পা আমরা দিইনি। আমরা সুন্দর করে শোভাযাত্রা পালন করতে চাই। আজকের দিনে, আমরা কোনও গন্ডোগোল চাই না। পুলিশ নিজে এটা করার চেষ্টা করছে। পুলিশকে ওই ডাইরেক্টশন দেওয়া আছে। যাতে এসএসসি-তে যে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল ইস্যু ঘোরাতেই এই চেষ্টা। কিন্তু আমরা প্ররোচনা পা দেব না।'
আরও পড়ুন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও রামনবমী ! আজাদ কাশ্মীরের পোস্টার ঢাকা হল জাতীয় পতাকায়
কেষ্টপুরে রামনবমীর মিছিল আটকাল পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। অনুমতি থাকা সত্ত্বেও মিছিল যেতে দিচ্ছে না পুলিশ, মিছিল আটকানোর অধিকার কারও নেই, মন্তব্য করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের ব্যারিকেড এড়িয়ে অন্য পথ ধরে এগোয় মিছিল। রামনবমী উপলক্ষ্যে মালদায় অস্ত্র নিয়ে, সাউন্ড বক্স বাজিয়ে মিছিল। দেখা গেল হিন্দু-মুসলিম সৌভ্রাতৃত্বের ছবি। রামনবমী উদ্যাপন সমিতির মিছিলে ফুল ছুড়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুসলিমরা। মিছিলে যোগ দেওয়ার কথা ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী ও মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর।
রামনবমীর শোভাযাত্রায় যোগ দিতে বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে রাস্তায় বসে পড়লেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ কার্তিক পাল। তাঁর অভিযোগ, চোপড়া এবং আরও কয়েকটি জায়গা থেকে ট্যাবলো নিয়ে আসতে বাধা দেয় পুলিশ। প্রতিবাদ জানাতে আধঘণ্টা রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদ। এদিন অগ্নিমিত্রা পাল বলেন,'ছোটবেলা থেকে সমস্ত দেবদেবীর হাতে অস্ত্র দেখেছি। যদি সংখ্যালঘুদের মহরমে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে সনাতনী হিন্দুদের অনুমতি দিতে বাধা কোথায়? প্রশ্ন তুললেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। হুঁশিয়ারি দিলেন, মিছিলে বাধা দিলে শুধু প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধও হবে।'
রামনবমীতে অস্ত্র মিছিলের পক্ষে সওয়াল করলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। বললেন, কোনও কোনও সময় ধর্মকে রক্ষা করতে অস্ত্র হাতে নেওয়ার দরকার পড়ে। এদিন মধ্য হাওড়ার কদমতলা থেকে শুরু হয় রামনবমীর মিছিল। যোগ দেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। রামরাজাতলায় রাম মন্দির পর্যন্ত এই মিছিল যাবে।