কলকাতা: বগটুইয়ে হত্যার (Birbhum Killings) ঘটনায় রামপুরহাটের (Rampurhat) তৃণমূল (TMC) ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন সিপিএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammed Salim)। আজ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসীরা বলার পরেও পুলিশ যায়নি। কারণ, আনারুল হোসেন পুলিশ পাঠায়নি। সেটা এসপি-র সামনেই বলছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। তার মানে ও পুলিশকে কন্ট্রোল করত। সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই। বিভিন্ন ব্লকে এরকম তৃণমূল নেতাদের ঠিক করা আছে, যারা গুণ্ডা কন্ট্রোল করে এবং পুলিশও কন্ট্রোল করে।’


আনারুল তৃণমূলের অরাজনৈতিক ব্লক সভাপতি!


সিপিএম রাজ্য সম্পাদক আরও বলেছেন, ‘ডিজি যে বলেছিলেন, এর মধ্যে রাজনীতির যোগ নেই, তাহলে আনারুল তৃণমূলের অরাজনৈতিক ব্লক সভাপতি! এই কারণেই আমরা বলেছি তৃণমূলের আরেক নাম তোলাবাজি কোম্পানি। তা না হলে রাজনীতির কোনও যোগ নেই, অথচ আনারুলকে ধরা হল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে! এটা বোঝা গেল, কে গ্রেফতার হবে আর কে গ্রেফতার হবে না, সেটা আইন বা অভিযোগের ভিত্তিতে হবে না। আমি যতদূর জানি, আজ সকাল পর্যন্ত পুলিশ এফআইআর নেয়নি। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর এফআইআর নিয়েছে কি না জানি না। সকালেও মিহিলাল শেখের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে বলেছে, আমি থানায় যাব কীভাবে! আমার তো অভিযোগ নিচ্ছে না।’


পুলিশের গাফিলতি স্বীকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের


আজ বগটুইয়ে গিয়ে পুলিশের গাফিলতি স্বীকার করে নেন পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এসডিপিও দায়িত্ব পালন করেননি। ডিআইবি দায়িত্ব পালন করেননি। সুতরাং যাঁরা যাঁরা দায়িত্ব পালন করেননি এবং এই ঘটনা ঘটতে যাঁরা যাঁরা জেনেশুনেও পুলিশকে কাজে লাগাননি, তাঁদের কঠোর শাস্তি চাই। তাঁরা নেগলেক্ট না করলে এই ঘটনা ঘটত না। সঙ্গে সঙ্গে যদি পুলিশ পিকেটিং দিত, তাহলে হয়তো এটা ঘটত না। পুলিশ পিকেটিং দেয়নি।’


বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগেও অনড় থাকলেন। তাঁর দাবি, ‘বৃহত্তর কন্সপিরেসি আছে এখানে। বহিরাগত কেউ করেছে কি না দেখতে হবে।’


পাল্টা বিরোধীদের প্রশ্ন, শাস্তি দেওয়া হল পুলিশকে, গ্রেফতার হলেন তৃণমূলেরই নেতা। তাহলে এ ক্ষেত্রে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বা বদনামের চেষ্টার অভিযোগ আসছে কোথা থেকে?