কলকাতা: প্রথমে শাসকদলের নেতাকে বোমা মেরে খুন এবং তার এক ঘণ্টার মধ্যে এলাকার ১০টি বাড়িতে আগুন, শিশু-সহ ৮ জনের মৃত্যু। বগটুইয়ের ঘটনায় গত দু’দিনে চরমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলছেন বিরোধীরা। সেই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে শোকার্ত পরিবারগুলির মাঝে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে গিয়ে নিহত উপ প্রধান ভাদু শেখ ও অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপরই পুলিশকে (Police) কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। 


কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?


এদিন তিনি বলেন, 'বগটুইয়ের ঘটনা ভয়াবহ। এমন করে মামলা রুজু করতে হবে যাতে দোষীরা কঠোর শাস্তি পায়। কোনও অপরাধী যেন ছাডা না পায়। আনারুলকে জানানোর পরও পুলিশ পাঠায়নি। আনারুল আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্ট। ওকে জানানোর পরও সময়মতো পুলিশ পাঠায়নি। কেন ও পুলিশ পাঠায়নি, তা জানা দরকার। সময় মতো পুলিশ পাঠালে হয়তো এমন ঘটনা এডানো যেত। এটা অবশ্যই দেখতে হবে আমাদের। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় যে কজন গ্রেফতার হওয়া বাকি রয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। দোষীদের এমন শাস্তি আমি দেখতে চাই, যা পুলিশ করবে, যাতে কোনওদিন এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস কেউ না পায়। কেউ যেন এমন কাজ আর করতে না পারে। এই ঘটনার দোষীদের শাস্তি দেখে যেন অন্যরা শিক্ষা নেয়।'


আরও পড়ুন - Rampurhat Case: "নিহতদের পরিজনদের নিরাপত্তা দিতে হবে,'' বগটুইয়ে ঘোষণা মমতার


বেআইনি অস্ত্র-বোমা উদ্ধার নিয়ে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?


এরপরই যেখানে যত বেআইনি অস্ত্র রয়েছে, তা উদ্ধার করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'সারা বাংলায় সমস্ত জায়গায় তল্লাসী চালাও। যেখানে যত বোমা রয়েছে, যত বেআইনি অস্ত্র রয়েছে, সব উদ্ধার করতে হবে। পুলিশ যারা সক্রিয়ভাবে কাজ করবে, তাকে যথার্থ সম্মান জানান হবে। আর যে সঠিকভাবে কাজ করবে না, এনজয় করে কাটাবে, তাকে পুলিশে কাজ করার দরকার নেই। দুজন অন্যায় করবে, তার জন্য গোটা পদটাকে গোষ দেওয়া হবে, সেটা হতে পারে না।'


প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, "দেখুন আমি যখন একটা খবর বলছি, আমি এখানে চেয়ার হিসেবে বলছি না, আমি একটা মানুষ হিসেবে বলছি। এটা আমার মানবিকতা। তারা নেগলেট না করলে এই ঘটনা ঘটত না, সঙ্গে সঙ্গে যদি পুলিশ পিকেটিং দিত। পুলিশ পিকেটিং দেয়নি।"