ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: বিশাল দেহ, মুখের সামনের অংশটা লম্বা ও সরু, ধারাল দাঁতও দেখা যাচ্ছে। দিঘা মোহনা থেকে বিরল (rare) প্রজাতির (variety) এমন মাছেরই (fish) সন্ধান মিলল আজ। নাম 'চিরুনি ফাল' বা 'সোর্ড ফিশ'। তার পর থেকেই চাঞ্চল্য মৎস্যজীবীদের (fisherman) মধ্যে।


মাছের ইতিকথা...
এদিন যে চিরুনি ফালের খোঁজ মিলেছে তার ওজন আনুমানিক ৫৫০ কিলোগ্রাম। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের মাছ সাধারণত গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। বিরল প্রজাতির চিরুনি ফালের পাখনা দিয়ে জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি হয় বলে দাবি মৎস্যজীবীরা। মাছটির বাজারমূল্য কয়েকহাজার টাকা বলে ধারণা অনেকের। এদিন মোহনার জিকেডি আড়তে মাছটি ওঠে। মাসখানেক আগেই দামোদরের জলে ডলফিনের দেখা মেলায় হইচই পড়ে যায়। সে বার গলসির শিল্লাঘাটের দামোদরের জলে দেখা মেলে গাঙ্গেয় ডলফিনের। স্থানীয় ও মৎসজীবীরা যাতে তাকে উত্তক্ত না করে, তার জন্য এলাকায় মাইকিং প্রচার করে বনদপ্তর। অগাস্টের শুরুতেই বকখালির সমুদ্র তটে দেখা মিলেছিল বিশাল আকৃতির ডলফিনের। ভোররাতে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা যখন নদীতে মাছ ধরতে যায়, তখনই এই বিশাল আকৃতির ডলফিনকে দেখতে পায় তারা।  বকখালির সমুদ্রসৈকতে ডলফিনটিকে সকাল থেকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। প্রায় কুড়ি ফুটের চেয়েও বড় এই ডলফিনের আকৃতি। বিশালাকৃতি ডলফিনটিকে দেখতে পেয়ে ভিড় জমান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় এলাকার মানুষ বকখালি বন দফতরে এই খবর দেয়।পরে বনদফতরের কর্মীরা খবর পেয়ে মৃত ডলফিনটিকে উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান কোনও জাহাজের ধাক্কায় আঘাত খেয়ে বকখালি উপকূলে উঠে পড়ে ডলফিনটি। এত বড় ডলফিন আগে কখনও ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।


মাছ নিয়ে বিস্ময়...
অগাস্ট মাসেই নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরির বাজারে জালে পড়েছিল রঙিন পাখনাওয়ালা মাছ! তাতেও শোরগোল পড়ে যায়। আর পাঁচটা দিনের মতোই সে বার গঙ্গায় জাল ফেলেছিলেন দীপঙ্কর রাজবংশী। কিন্তু জাল বেছে দেখার সময়ই চক্ষু চড়কগাছ। দেখতে অবিকল কাতলার মতো হলেও মাছের বড় বড় রঙিন পাখনা দেখে কিছুটা ভয়ই পেয়ে যান তিনি। যদিও ভয়ের রেশ কাটিয়ে জালে ওঠা বিরল প্রজাতির মাছের সঙ্গে সকলের পরিচয় করিয়ে দিয়ে নিয়ে আসেন বেথুয়াডহরির বাজারে। আর রঙিন পাখনাওয়ালা মাছ দেখতে জমে যায় ভিড়। বেশ কয়েকজন উৎসাহী মাছের দরদাম করতে এগিয়েছিলেন। তবে তাঁদের মুখের ওপর দীপঙ্কর সাফ জানিয়ে দেন, বিক্রি করতে নয়। এই বিরল প্রজাতির মাছ সবাইকে দেখাতেই বাজারে এনেছেন। যেখানে জাল ফেলে মাছটি পেয়েছিলেন, সেই পাটুলি গঙ্গাতেই মাছটিকে ফের ছেড়ে দেবেন বলেই জানান জেলে। 


আরও পড়ুন:বারাসাতে ইলিশ উৎসবে বিশৃঙ্খলা, খাবার না পেয়ে বিক্ষোভ