কলকাতা : আজ রথযাত্রা ( Rath Yatra 2023 ) । ভক্তদের রশির টানে পুরীতে রথে চড়ে মাসির বাড়ি গেলেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। পুণ্যার্থীর ঢল সৈকত শহরে ( Puri )। জোরদার নিরাপত্তা।                     


' রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধাম, ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম...' - আষাঢ়স্য শুক্লপক্ষে জমজমাট পুরী ৷  রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে এবারও লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়। দেশের নানা প্রান্তের মানুষের সঙ্গে ভিড় জমিয়েছেন বহু বিদেশি পযর্টক ৷  সমুদ্র-শহর আক্ষরিক অর্থেই জনসমুদ্র।            


সকাল থেকেই রীতিনীতি মেনে শুরু হয় পূজার্চনা। পালিত হয় নানা রীতি। দুপুরে খিচুড়ি ভোগ খেয়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশ রওনা হন জগন্নাথ,রথে চড়ে জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি যাত্রা৷ সঙ্গী বলরাম, সুভদ্রা৷              

কড়া নিরাপত্তা                                


অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা সৈকত শহর ৷ মন্দির চত্বরে নজরদারি চালাতে বসানো হয়েছে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা। নিয়ম করে ওড়ানো বন্ধ করা হয়েছে ড্রোন। পুলিশ প্রশাসন ছাড়া কেউ ড্রোন ওড়াতে পারবেন না।  


মঙ্গলারতি দিয়ে সূচনা


রথের দিনে পুরনো চেহারায় পুরী। সৈকতশহরে উপচে পড়ছে ভিড়। মুহুর্মুহু শোনা যাচ্ছে জয় জগন্নাথ ধ্বনি। একবার রথের রশিতে টান দিতে কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী জগন্নাথ ধামে এসেছেন। সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে সূচনা। এরপর রথযাত্রার মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে।


রথ - পরিচয়
প্রথমে বেরোবেন সুদর্শন। গর্ভগৃহ থেকে ২২ ধাপে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নামিয়ে আনা হবে। ২২ ধাপের তৃতীয় ধাপে শিবের দর্শন নেন জগন্নাথ। এরপর দুলিয়ে দুলিয়ে বাজনা বাজিয়ে বিগ্রহকে তোলা হবে রথে, যা পহন্ডি নামে পরিচিত। জগন্নাথদেবের রথের নাম নন্দীঘোষ, বলরামের তালধ্বজ আর সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন বা পদ্মধ্বজ। এরপর পুরীর রাজা সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা ঝাঁট দেবেন। এই রীতিকে বলা হয় ছেড়াপহরা। দুপুরে খিচুড়ি ভোগ খেয়ে মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। পুরীর রথ মানে আবেগ। লক্ষ লক্ষ ভক্তের কাছে এই দিনটা শুধু একটা পার্বণ নয়। তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু ইতিহাস।