কলকাতা : "গ্রেফতারি সময়ের অপেক্ষা ছিল। চোরদের আরও আগেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল। বোঝাই যাচ্ছে, যত চোর গ্রেফতার হচ্ছে, চোরের রানির ছটফটানি বাড়ছে।" জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি (Jyotipriyo Mallick Arrested) নিয়ে এমনই ভাষায় কটাক্ষ ছুড়লেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিককে। জোড়া বাড়িতে ২০ ঘণ্টার ম্য়ারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল গভীর রাতে বনমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাত ৩টে ২৩ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য় প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রীকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর দুপুরে বনমন্ত্রীকে আদালতে পেশ করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। গ্রেফতারির পর সরাসরি বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে তিনি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার বলে অভিযোগ করেছেন জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক।
এদিকে এনিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, "যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাকিবুরের পাওয়া গেছে, সম্পত্তি বলার পরিবর্তে রাজত্ব বলা ভাল। সেই সম্পত্তি বা রাজত্ব আদপে কার, কার সম্পত্তি বাকিবুরের নামে আছে, এ তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন। আমরা বহু চাল চুরির অভিযোগ পেয়েছি। বোঝাই যাচ্ছে, যত চোর গ্রেফতার হচ্ছে, চোরের রানির ছটফটানি বাড়ছে।"
রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ব্য়বসায়ী বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করার পর থেকেই, তাঁর সঙ্গে এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠে আসছিল। বাকিবুরের সঙ্গে প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের ছবি দেখিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও।
২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অন্যদিকে রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্য পুলিশই ২০২০, '২১ ও '২২ সালে ৩টি FIR করেছিল। FIR হয়েছিল বাকিবুর রহমানের সংস্থার নামে। যদিও, ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, FIR দায়ের হলেও, গভীরে গিয়ে তদন্ত হয়নি। যে কারণে আগে বাকিবুরকে গ্রেফতারও করা হয়নি।
ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এতদিনে অনেকের বয়ানেই তাঁর (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের) নাম উঠে এসেছে। সেই অনুযায়ী, গতকাল মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে, এরকম বেশ কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।