কলকাতা: রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) অভিযুক্ত মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, বাকিবুর ও তাঁর আত্মীয়ের নামে ৯৫টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১০০ কোটি টাকা।


ইডি সূত্রে দাবি, বাকিবুরের ১ হাজার ৬৩২ কাঠা জমির খোঁজ পাওয়া গেছে। যার বেশিরভাগই উত্তর ২৪ পরগনা ও বহরমপুরে। শুধু তাই নয়, পার্ক স্ট্রিট, রাজারহাট, বারাসাত ও রঘুনাথপুরে ৯টি ফ্ল্যাট রয়েছে বাকিবুরের। যার মোট আয়তন সাড়ে ৭হাজার স্কোয়ার ফুটের বেশি বলে ইডি সূত্রে দাবি। রেজিস্ট্রাড সম্পত্তির পরিমাণ এত হলে, বেনামি সম্পত্তির পরিমাণ কত? তা ভাবাচ্ছে ইডির তদম্তকারী আধিকারিকদের।


প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে FIR দায়ের করেছিল ইডি। সেই মামলায় কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা   ও নদিয়ার মোট ১২টি জায়গায় হানা দেয় ED। যার অন্যতম ছিল কৈখালিতে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট। পাশাপাশি বাগুইআটির দশদ্রোণ এলাকায় বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক দাসের ঠিকানাতেও হানা দেয় ED। ইডি সূত্রে দাবি, দুটি জায়গা থেকেই প্রচুর পরিমাণে নথি, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এমনকি লুকিয়ে রাখা কয়েকটি মোবাইলও উদ্ধার করেছেন অফিসাররা।


 বাকিবুরের শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি ইডি সূত্রে। ইডি সূত্রে দাবি, সমন জারি করে চলে এলে, বাকিবুর নাও আসতে পারেন। এমন আশঙ্কা থেকেই এদিন সমন জারি করে ইডির গাড়িতে বসিয়েই ব্যবসায়ীকে নিয়ে আসা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে।ইডি সূত্রে দাবি, ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি। রাজ্যের এক মন্ত্রীর ডান হাত হিসেবেই লোকে বাকিবুরকে চেনে। হোটেল, পানশালা, রেস্তোরাঁ ছাড়াও ৩ টি চালকলের মালিক তিনি। এখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন, এত টাকা বাকিবুরের কাছে এল কোথা থেকে ? বিপুল এই টাকার সঙ্গে কি কোনও দুর্নীতির যোগ রয়েছে ? যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে ইডি। 


আরও পড়ুন, 'কে মিথ্যা বলছেন ?..' নিশিকান্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে পাল্টা মহুয়া


আর এই প্রসঙ্গ নিয়ে সম্প্রতি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই ঘটনায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে সরাসরি নিশানা করেছিলেন তিনি। নাম না করে তোপ দেগেছিলেন 'ভাইপোকেও।' শুভেন্দু বলেছিলেন, 'চালকলের মালিক বাকিবুর রহমানকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। যাঁর টাকা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর কাছে যেত, পরে তাঁর মাধ্যমে পৌঁছত ভাইপোর কাছে।'