প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal scam) আত্মসমর্পণ অন্যতম অভিযুক্ত রত্নেশ বর্মার (accused ratnesh verma surrenders in asansol court)। রত্নেশের নামে আগেই লুক আউট নোটিস জারি করেছিল সিবিআই। বছরখানেক ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন রত্নেশ। এদিন আসানসোল কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
আত্মসমর্পণ অভিযুক্তের...
কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম ছিল রত্নেশ বর্মার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, প্রভাবশালীদের সঙ্গে টাকার লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। আগামীকাল তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, কয়লাপাচার মামলায় এর মধ্য়েই একাধিক হেভিওয়েটের নাম জড়িয়েছে। স্ক্য়ানারে আসেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরও। ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্রেক্ষাপট...
গত জুনে কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের পর ইডি তলব করে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল অভিষেক-পত্নীকে। রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি থেকে কলকাতায় আসে ইডি-র অফিসারদের একটি দল। এতেই শেষ নয়। গত সেপ্টেম্বরে দীর্ঘ ৭ ঘন্টা ধরে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েছিলেন শ্যালিকা মেনকা। মূলত, কয়লাকাণ্ডের টাকা পাচারের সময় অভিষেকের শ্যালিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করে ইডি। এদিন তবে সেবার জিজ্ঞাসাবাদের পর বাইরে বেরিয়ে কিছু বলতে চাননি মেনকা। তার আগেই, গত এপ্রিলে একই মামলাতে বিকাশ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আসানসোল কোর্টে হাজিরা দেওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জুলাই মাসে কবিনয় মিশ্র ও বিকাশ মিশ্রের একটি কোম্পানির নামে কেনা সম্পত্তি বাজেয়প্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানের গোপীনাথপুরে আনুমানিক ১৩ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা মূল্যের ওই সম্পত্তি বিনয় ও বিকাশের সংস্থার নামে কেনা হয়েছিল। অবশ্য তার আগেই একাধিক অভিযুক্তর ২০৪ কোটি টাকার সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডি সূত্রে খবর, বিনয় ও বিকাশের আর কোথায় কোথায় সম্পত্তি রয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বস্তুত, কয়লাপাচার মামলা নিয়ে গোটা রাজ্যেই হইচই পড়ে যায়। এই নিয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে একাধিক তরজারও সাক্ষী থেকেছে বাংলা।
সেই মামলাতেই আত্মসমর্পণ রত্নেশ বর্মার।
আরও পড়ুন:'এমন ভারত হোক যাতে দারিদ্র থাকবে না', বাজেট অভিভাষণে আহ্বান রাষ্ট্রপতির