প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার .(Jibankrishna Saha) দুটি মোবাইল থেকে উদ্ধার তথ্য। সাড়ে তিনশো পাতা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এবার জেলে গিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। 


দুটি মোবাইল থেকে উদ্ধার তথ্য: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের বড় হাতিয়ার হতে চলেছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দুটি মোবাইল ফোনের তথ্য। সিবিআইয়ের দাবি, দুটি ফোন থেকে সাড়ে ৩০০ পাতার তথ্য মিলেছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কয়েকশো অডিও ক্লিপে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথোপকথন হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে মিলেছে বেশ কিছু নাম। এবার তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে নিয়োগ ছাড়া অন্য বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। সিবিআইয়ের অনুমান, তথ্য গোপন করতেই দুটি ফোন ছুড়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। এবার ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্য সামনে রেখে জেলে গিয়ে জীবনকৃষ্ণকে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 


তৃণমূল বিধায়কের আন্দির বাড়িতে সিবিআই অভিযান ঘিরে তৈরি হয়েছিল একের পর এক নাটকীয় পরিস্থিতি। অভিযান শুরু হয় দুপুরে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। শুরু হয় বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ। একইসঙ্গে রঘুনাথগঞ্জে বিধায়কের শ্বশুরবাড়িতেও অভিযান চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীনই ওই দিন বিকেল সোয়া ৫টা নাগাদ তদন্তকারীদের হাত থেকে নিজের দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ জোড়া মোবাইলের সন্ধান পেতে পুকুর থেকে জল তোলার কাজ শুরু হয়। শনিবার বিকেলে বিধায়কের বাড়ির কাছে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় ৫টি ব্যাগভর্তি নথি। যেগুলি নিয়োগ সংক্রান্ত নথি বলে সিবিআই দাবি করেছে। এরপর সাড়ে ৩৮ ঘণ্টা পর, উদ্ধার হয় বিধায়কের একটি মোবাইল। ৭ ঘণ্টা তল্লাশির পরে পুকুর থেকে জীবনকৃষ্ণের দ্বিতীয় মোবাইলের হদিশ মেলে।


কী তথ্য লোপাটে মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক? পুকুরের পাঁক থেকে উদ্ধার মোবাইল ফোনেই কি দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য?  বিধায়ক হয়েও ফোন ফেলে তথ্য লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ আগেই তুলেছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার ওই দুই ফোনই বড় হাতিয়ার হতে চলেছে। সিবিআইয়ের দাবি, দুটি ফোন থেকে সাড়ে ৩০০ পাতার তথ্য মিলেছে। 


আরও পড়ুন: Walking Fact: পার্ক না কি ট্রেডমিল? দৌড়নোর লাভ কোথায় বেশি? কোনটা বাছবেন?