মুর্শিদাবাদ: অবশেষে সাফল্য। মিলল জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় মোবাইল ফোন। তন্নতন্ন করে তল্লাশির পরেই মিলল নিখোঁজ মোবাইল ফোন।


প্রায় ৬৬ ঘন্টা পর অবশেষে উদ্ধার জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় মোবাইল ফোন পুকুরে দুটি মোবাইল ফোন ফেলে দিয়েছিলেন শাসক বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের একটি ফোন উদ্ধার হয়েছে। ৬০ ঘণ্টা পার। দ্বিতীয় ফোনটির এখনও খোঁজ চলছে। সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযানে বিধায়কের বাড়ির অদূরে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫টি ব্যাগ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, এই ব্যাগগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি মিলেছে। ভোরবেলা জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতারের পর, কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সিবিআই। আজই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে তোলা হবে আলিপুর আদালতে। 


উদ্ধার হলেও প্রশ্ন:
সিবিআই সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন ফোন নিয়ে ছুড়ে পুকুরে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কীভাবে ফোন ফেলা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর সময় নেওয়া হয়নি বিধায়কের ফোন? সিবিআই পৌঁছনোর ৫ ঘণ্টা পর কীভাবে ফোন পেলেন জীবনকৃষ্ণ? অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণর ফোন প্রথমেই কি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল? সূত্রের খবর, দায়িত্বে থাকা সিবিআই অফিসারদের উপর ক্ষুব্ধ দিল্লি, এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এমন ঘটনা দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের চরম গাফিলতির কারণেই হয়েছে বলে মনে করছে দিল্লি, খবর সূত্রের।


আজ ভোরেই গ্রেফতার:
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে টানা ৬৫ ঘণ্টা নাটকীয় টানাপড়েনের পর, অবশেষে সোমবার ভোরে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর পর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শাসকদলের তৃতীয় বিধায়ক। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে।


ফোনে লুকিয়ে কী তথ্য:
বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোনেই কি লুকিয়ে আছে নিয়োগ দুর্নীতির গোপন তথ্য? তার হদিশ পেতে পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ফোন আজই পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। ২ দিন ধরে জলের মধ্যে পড়েছিল ফোন। সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিবিআই আধিকারিকরা ড্রায়ার দিয়ে ফোন শুকোনোর চেষ্টা করলেও, সেটিকে এখনও পর্যন্ত খোলা সম্ভব হয়নি। সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের বাড়ির কাছে উদ্ধার হওয়া ৫টি ব্য়াগে মিলেছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পাতার নথি। সিবিআইয়ের দাবি, এই নথিগুলির মধ্যে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলার নয়, অন্য জেলার চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও মিলেছে। এই সমস্ত অভিযোগ সামনে রেখেই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পালানোর চেষ্টা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারা যুক্ত করার চেষ্টা করছে সিবিআই। 


আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি অভিষেকের