সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : টাকা দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে জেলে জায়গা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু ১২ দিনের জেল হেফাজত শেষে জামিন দেওয়া হল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের ভুয়ো শিক্ষকদের। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে শর্তও। আজ আদালতে তোলা হলে তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তাঁরা। সেই ভিত্তিতেই তাঁদের ছাড় দেওয়া হয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) চাকরি কেনা শিক্ষকদের গ্রেফতারিতে রাজ্যজুড়ে তৈরি হয়েছিল আলোড়ন। যে সময় আদালত জানিয়েছিল, চাকরি কেনার জন্য অর্থ দিয়ে সমান অপরাধে দুষ্ট তারা বলেই তাঁদগের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল আদালত।
শনিবার অবশ্য চাকরি কেনার অভিযোগে ধৃত মুর্শিদাবাদের ৪ শিক্ষককে জামিন দিল আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এদিন আদালতে পেশ করা হয় সায়গর হোসেন, সীমার হোসেন, জাহিরুদ্দিন শেখ ও সৌগত মন্ডলকে। এর আগে সিবিআই চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে এই চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এই নিয়ে আদালতে ভর্ৎসনার মুখেও পড়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এরপরই গত ৭ অগাস্ট আলিপুরের সিবিআই আদালতের (CBI Special Court) নির্দেশে মুর্শিদাবাদ থেকে ডেকে এনে এই ৪ শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। জেলবন্দি ওই চার শিক্ষককে ১২ দিনের হেফাজত শেষে আজ আদালতে তোলা হলে তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তাঁরা। এরপরই ওই চার শিক্ষকের জামিন মঞ্জুর করেন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য-র স্ত্রী।
ঘুষ দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মুর্শিদাবাদের ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জশিটে চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছিল সিবিআই। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mandal) লাখ লাখ টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ধৃত অযোগ্য় শিক্ষক সায়গর হোসেন দিয়েছিলেন ৬ লক্ষ টাকা। জাহিরাদ্দিন শেখ ও সৌগত মণ্ডল দিয়েছিলেন সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা করে এবং সীমার হোসেন চাকরি কিনতে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। CBI-এর চার্জশিটে রয়েছে আরও বিস্ফোরক তথ্য়। এতে দাবি করা হয়েছে, চাকরি-বিক্রির এজেন্ট ও চাকরিপ্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন